ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে (কোভিড-১৯ ইউনিট) দিন দিন বেড়েই চলেছে মৃত্যুর সংখ্যা। বুধবার (১৩ মে) পর্যন্তে এখানে ভর্তি রোগীদের মধ্যে ১৩৩ জন মারা গেছেন। এদের মধ্যে ২৩ জন কোভিড-১৯ পজিটিভ, বাকিরা করোনা সাসপেক্টেড (সন্দেহভাজন)।
আজ বৃহস্পতিবার (১৪ মে) ঢামেক হাসপাতালের মর্গ সূত্রে জানা যায়, গত ১২ দিনে ঢামেকের নতুন কোভিড-১৯ ইউনিটে মারা গেছে ১৩৩ জন। ২ মে রোগী ভর্তি শুরু হয়। সেদিন ভর্তি শুরু হতে না হতেই মারা যায় একজন। এরপর থেকে একে একে প্রতিদিনই মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে থাকে।
বুধবার পর্যন্ত সর্বমোট ১৩৩ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ২৩ জন রোগীর করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়। বাকিরা সাসপেক্টেড।
ঢামেকের করোনা ইউনিট সূত্রে জানা যায়,বর্তমানে হাসপাতালে রোগী ভর্তি আছে ১৮৯ জন। এর মধ্যে আইসিউতে আছেন ১০ জন। ৯০ জন রোগী কোভিড-১৯ পজিটিভ। এ পর্যন্ত মোট ভর্তি রোগী ১২শর বেশি। অনেকেই চিকিৎসা নিয়ে বাসায় গেছেন। আবার অনেকেই হাসপাতালের কাউকে কিছু না বলে পালিয়েছেন।
এ ব্যাপারে ঢামেক পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিন বলেন, হাসপাতালে যে কোনো রোগী এলেই সবাই করোনা ইউনিটে চিকিৎসা নিচ্ছে। এছাড়া করোনার আগে আমাদের হাসপাতালে নরমালি প্রতিদিনই মৃত্যু হতো ২৫ থেকে ৩০ জনের। সে অনুযায়ী মৃত্যুর সংখ্যা কিন্তু এখন কম। যেমন ধরুন গতকালকে করোনায় দু’জন মারা গিয়েছে।
‘এজন্য আমরা ঢামেকের নতুন ভবন প্রস্তুত করে ফেলেছি। শনিবার থেকে ভর্তি কার্যক্রম শুরু করা হবে। প্রায় ৫শ থেকে সাড়ে ৫শ কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী এখানে চিকিৎসা নিতে পারবে। ঢামেকের করোনা ইউনিট-২ এর জন্য ডাক্তার-নার্স সবারই রোস্টার তৈরি করা হয়েছে। ওয়ার্ডবয়রাও প্রস্তুত আছে।’
তিনি আরো বলেন, এছাড়া নতুন ডাক্তারও আমরা পেয়েছি ১৯২ জন। নতুন নার্স পেয়েছি প্রায় ৫শ জন। ডাক্তার-নার্স-ওয়ার্ডবয়ের এখন কোনো সংকট নেই।