প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের মহামারি শুরুর পর শনিবার দ্বিতীয় বিশেষ ফ্লাইটে ২২০ জন অস্ট্রেলীয় নাগরিক অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছেন। ঢাকায় অস্ট্রেলীয় হাইকমিশন জানায়, তারা তিন সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো, অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক, স্থায়ী বাসিন্দা এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে যেতে সহায়তা করেছে। শ্রীলঙ্কান এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ বিমান শনিবার ২২০ জন অস্ট্রেলিয়ান এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যায়। ফ্লাইটটিতে আট জন নিউজিল্যান্ডের নাগরিক এবং স্থায়ী বাসিন্দা ছিলেন।
এর আগে গত ১৬ এপ্রিল বাংলাদেশ ছেড়ে যাওয়া ২৮৫ জনসহ এই নিয়ে পাঁচশ’রও বেশি অস্ট্রেলিয়ান নাগরিককে দেশে ফিরে যেতে সাহায্য করলো অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশন।
অস্ট্রেলীয় হাইকমিশনার জেরেমি ব্রুয়ার বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন এবং বিদায়ী যাত্রীদের সঙ্গে আলাপ করেন। পুরো প্রক্রিয়াটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য বিমানবন্দরে অস্ট্রেলীয় হাইকমিশনের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
হাইকমিশনার বলেন, ‘কভিড-১৯ এর কারণে বেশিরভাগ যাত্রীবাহী ফ্লাইটের চলাচল এখনো বাংলাদেশ থেকে যাওয়া এবং আসা স্থগিত আছে। মহামারি মোকাবেলায়, আমাদের বিশ্বব্যাপী প্রতিক্রিয়ার অংশ হিসেবে আমরা নিরলস চেষ্টা করে চলেছি যাতে অস্ট্রেলীয়রা দেশে ফিরতে পারেন।’
অস্ট্রেলীয়দের বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছাতে সহায়তার জন্য হাইকমিশনার শ্রীলঙ্কান এয়ারলাইন্স ও বাংলাদেশ সরকারের কাছে কৃতজ্ঞতা জানান।
অস্ট্রেলীয় হাইকমিশন জানায়, হাইকমিশন কর্মকর্তারা দ্বিতীয় ফ্লাইটটির জন্য বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং বিমানবন্দর কর্মকর্তাদের সঙ্গে কাজ করেছে। কভিড-১৯ মহামারি শুরু হওয়ার পর অস্ট্রেলিয়া সরকার প্রায় ১৫ হাজার অস্ট্রেলীয় নাগরিককে জাহাজ ও বাণিজ্যিক বিমান সংস্থাগুলোর মাধ্যমে দেশে ফিরে যেতে সাহায্য করেছে।