আজ শনিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে বকশীগঞ্জ নইম মিয়ার বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা পুলিশের বিরুদ্ধে পিটানোর কথা বললেও তার পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি অস্বীকার করে জানান, তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ হার্টের সমস্যায় ভুগছিলেন।
ঘটনার সময় পুলিশ আতঙ্কে স্ট্রোক করে বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আ.স.ম জামশেদ খোন্দাকার দ্রুত সিরাজুলকে উদ্ধার করে বকশীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডা. প্রতাপ নন্দী জানান, তার শরীরে কোনো অঘাতের চিহ্ন নেই, তিনি স্ট্রোকেই মারা গেছেন।
এদিকে এ ঘটনাটি অন্যদিকে প্রভাবিত কারার লক্ষ্যে মিছিল বের করার চেষ্টা করলে শাহিন আল আমিন নামের স্থানীয় এক সংবাদিককে গণধোলাই দেয় স্থানীয়রা। পরে বকশীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম সওদাগর ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিক শাহিনকে উদ্ধার করেন।
পরে বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আ.স.ম জামশেদ খোন্দকার, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম, বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বিজয়, মেয়র নজরুল ইসলাম সওদাগার, কামালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামালের উপস্থিতিতে পরিবারকে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।
ইউএনও) আ.স.ম জামশেদ খোন্দকার জানান, সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে অভিযান চালানোর সময় পুলিশ দেখেই তিনি দৌঁড়ে পরে যান। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।