রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় জোড়া খুনের মামলায় গ্রেপ্তার পাঁচ আসামিকে পাঁচ দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ মঙ্গলবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত এই আদেশ দেন।
গ্রেপ্তার পাঁচ আসামি হলেন সুরভী আক্তার, বাড়ির ব্যবস্থাপক গাউসুল আজম, ইলেকট্রিশিয়ান বেলায়েত, নিরাপত্তারক্ষী নুরুজ্জামান এবং দেহরক্ষী আতিকুল হক বাচ্চু।
গত ১ নভেম্বর রাতে ধানমন্ডিতে গৃহকর্ত্রী আফরোজা বেগম ও তাঁর গৃহকর্মী দিতির লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহত আফরোজা বেগমের মেয়ে আইনজীবী দিলরুবা সুলতানা বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এই জোড়া খুনের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে সুরভীসহ পাঁচজনকে আজ ঢাকার আদালতে হাজির করে পুলিশ ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হেমায়েত উদ্দিন খান শুনানির সময় আদালতে বলেন, ‘ধানমন্ডির চাঞ্চল্যকর জোড়া খুনের ঘটনার সঙ্গে এই পাঁচজন আসামি জড়িত আছেন। সুরভী আক্তার নামের এই নারীর পক্ষে একা দুজন মানুষকে খুন করা সম্ভব নয়। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ওই বাড়ির নিরাপত্তারক্ষীসহ আরও অনেকেই জড়িত আছেন। এই হত্যাকাণ্ডের মূল নায়ক কে? কেন এই দুজন নারীকে হত্যা করা হলো? এসব ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য এই আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি।’
প্রধান সন্দেহভাজন আসামি সুরভী আক্তারের পক্ষে আদালতে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। তবে নুরুজ্জামান ও গাউসুল আজমের পক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে আদালতের কাছে জামিন চান। আসামিপক্ষের আইনজীবীরা আদালতের কাছে দাবি করেন, যে বাসায় খুন হয়েছে সেই বাসায় সার্বক্ষণিক ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা চালু আছে। ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ভিডিও পর্যালোচনা করলে এই খুনের অনেক বিষয় জানা সম্ভব। এর আগে তাদের মক্কেলকে শুধুমাত্র সন্দেহের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের রিমান্ডে নেওয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই।
আদালত উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে সুরভী আক্তারসহ ৫ জনকে ৫ দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন। আদালতে দেখা যায়, সুরভী কোনো কথা না বললেও অন্যরা বলছিলেন যে তাঁরা নির্দোষ। তাঁরা খুনের সঙ্গে জড়িত না।