পূজায় নতুন শাড়ি পরতে হবে। এজন্য স্বামীকে একটি নতুন শাড়ি আনতে বলেছিলেন কল্পনা রাণী (২৪)। কিন্তু কে জানতো এই শাড়িই তার জন্য কাল হবে। সেই শাড়ি পছন্দ না হওয়ায় স্বামী স্ত্রীর মধ্যে সৃষ্টি হয় ঝগড়া। আর এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে স্বামী তাকে গলাটিপে হত্যা করে। ঘটনাটি ঘটেছে মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলাধীন তেরশ্রী গ্রামে।
স্ত্রীকে গলাটিপে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামী সঞ্জিত কুমার ঘোষের (২৮) বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, মির্জাপুর উপজেলার চানদলিয়া গ্রামের কালীপদ ঘোষের মেয়ে কল্পনা রানীর (২৪) সাথে ঘিওর উপজেলার তেরশ্রী গ্রামের মৃত নারায়ণ চন্দ্র ঘোষের ছেলে সঞ্জিত কুমার ঘোষের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তাদের দাম্পত্য জীবনে কলহ লেগেই ছিল। তাদের ৬ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। গত রোববার বিকেলে দুর্গাপূজা উপলক্ষে পরিবারের জন্য নতুন জামা কাপড় কিনে বাড়িতে আসে। জামা কাপড় স্ত্রীর পছন্দ না হওয়ায় উভয়ের মাঝে ঝগড়া হয়। স্বামী সঞ্জিত কুমার ঘোষ রাতে টিভি দেখতে থাকলে স্ত্রী তা বন্ধ করে দেয়। একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে গভীর রাতে তাকে গলা টিপে হত্যা করে তার লাশ সিএনজিতে ঘিওর পশু হাসপাতাল সংলগ্ন বেইলি ব্রিজ থেকে ধলেশ্বরী নদীতে ফেলে দেয়। সোমবার স্ত্রী নিখোঁজ হয়েছে এই মর্মে ঘিওর থানায় একটি জিডি করে তার স্বামী। জিডির তদন্তের একপর্যায়ে হত্যার ঘটনাটি ফাঁস হয়ে যায়। জিডি করার পর থেকে সে মোবাইল ফোনটি বন্ধ করে গা ঢাকা দেয়।
পরে তাকে নাগরপুর থানার এলাসিন গ্রামে খালার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই রির্পোট লেখা পর্যন্ত পুলিশ লাশ উদ্ধার করতে পারেনি।
ঘিওর থানার ওসি মো. রবিউল ইসলাম জানান, সঞ্জিত কুমার ঘোষ ও তার মাকে নাগরপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তেরশ্রী থেকে তার বন্ধু নির্মল সাহা (৪০), চিত্য ঘোষ (৩৫), বদ্দো সাহা (৪০) আটক করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/পিকে