সাভারে চাচী-ভাতিজিকে গণধর্ষণ

চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে সাভারে চাচী ও ভাতিজি গণধর্ষণ করেছেন বখাটেরা। এঘটনায় মামলা দায়েরের পর পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করতে পারলেও এখনও একজন পালাতক রয়েছে। এঘটনায় চাচী ও ভাতিজি বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় শুক্রবার একটি গণধর্ষণের মামলা (নং-১৩) দায়ের করেছে।
.
গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে- রাজশাহী জেলার রাজপাড়া থানার লক্ষিপুর ভাটাপাড়া গ্রামের মৃত জারমান আলীর ছেলে কালু ওরফে সুমন (৩৫), রংপুর জেলার মিঠাপুকুর থানার রাধা কৃষ্ণপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে মো. জোউল (৩৫) ও সাভারের ইমান্দিপুর মহল্লার মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে ইসমালি (৩৮)। এছাড়া পলাতক রয়েছে সাভারের ইমান্দিপুর মহল্লার জাহিদকে (৫০)।

সাভার মডেল থানার ওসি মহসিনুল কাদির মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে জানান, ১৪ বছর বয়সী কিশোরীকে চাকরি দেয়ার কথা বলে গত ১৫ অক্টোবর পৌর এলাকার তালবাগের ভাড়া বাসা থেকে পূর্ব পরিচিত মো. রেজাউল তাকে ইমান্দিপুরের পশ্চিমপাড়ার একটি বাসায় নিয়ে যায়। ওই বাসায় তাকে চার দিন রেখে একটি পোশাক কারখানায় চাকরি দেয়। এরই মধ্যে বিভিন্ন লোক এনে ওই কিশোরীকে দেখিয়ে নিয়ে যায় রেজাউল।
গত ২৫ অক্টোবর রাত আনুমানিক ১০টার দিকে কালু, ইসমাইল ও জাহিদ ওই বাসায় এসে কিশোরীকে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে যায়। পরদিন ওই কিশোরী তার ২৪ বছর বয়সী চাচীর কাছে বিষয়টি জানালে চাচী তাকে জানায়, ইসমাইল তাকেও ভাড়া বাসার ছাদে নিয়ে ধর্ষণ করেছে। তবে ধর্ষকদের হুমকির কারণে এতো দিন সে মুখ খুলেনি। এবিষয়ে শুক্রবার থানায় মামলা করলে পুলিশ তিন ধর্ষককে গ্রেপ্তার করে।

ধর্ষণের শিকার কিশোরী ও তাঁর চাচীকে মেডিকেল টেস্টের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ সময়: ১২০৭ ঘণ্টা, ৪ নভেম্বর, ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/পিকে