ঢামেকে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা ৩ ঘণ্টা বন্ধ

তিন ঘণ্টা পর চালু হলো ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসাসেবা। এর আগে এক রোগীর মৃত্যুতে স্বজনদের ‘হামলার’ ঘটনায় রবিবার দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত হাসপাতালের জরুরি সেবা বন্ধ করে দেন চিকিৎসকরা।

দীর্ঘ সময় চিকিৎসাসেবা বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েন রোগীরা। অনেককে চিকিৎসা না পেয়ে অন্য হাসপাতালে চলে যেতে দেখা গেছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানান, রবিবার দুপুরে নওশাদ আহমেদ নামে ৫২ বছর বয়সী এক রোগী হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) মারা যান। এরপর বেলা দুইটার দিকে ওই রোগীর স্বজনদের সঙ্গে কিছু লোক এসে হাসপাতালে হামলা করেন। এতে আটজন চিকিৎসক, নার্স, স্টাফ ও আনসার সদস্য আহত হন।

এরপর চিকিৎসকরা নিরাপত্তাহীনতার কারণ দেখিয়ে হাসপাতালে ঢোকার বিভিন্ন গেইট বন্ধ করে দেন এবং জরুরি বিভাগের সেবাও বন্ধ করে দেয়া হয় বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

নাম প্রকাশে অনেচ্ছুক ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী একজন বলেন, হামলাকারীরা নিজেদেরকে বিএমএ সভাপতি মোস্তফা জালাল মহীউদ্দিনের লোক বলে দাবি করেন।

ঘটনাস্থল থেকে রিয়াদ ও মাকসুদ নামে দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। আরও দুইজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে শাহবাগ থানার পুলিশ।

রবিবার বিকাল পাঁচটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিনের উপস্থিতিতে জরুরি বিভাগের প্রধান ফটক ও টিকিট কাউন্টার খুলে দেয়া হয়।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বলেন, গত তিনদিন আগে নওশাদ আহমেদ নামে এক রোগী হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে ভর্তি হন। তিনি হৃদরোগ বিভাগের অধ্যাপক আবদুল ওয়াদুর চৌধুরীর অধীনে চিকিৎসাধীন ছিলেন। আজ দুপুরে তিনি মারা গেলে ওই ব্যক্তির স্বজনেরা চিকিৎসক আনসার ও সেবিকাদের মারধর করেন। পরে দুপুর দুইটা থেকে জরুরি বিভাগের চিকিৎসা সেবা বন্ধ হয়ে যায়।

এদিকে জরুরি বিভাগের চিকিৎসাসেবা তিন ঘণ্টা বন্ধ থাকায় সেখানে রোগীদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। জরুরি বিভাগে আগুনে পোড়া, গাছ থেকে পড়া, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত এসব রোগী আসতে দেখা যায়। পরে সেখানে তারা চিকিৎসা না পেয়ে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চলে যায়। তবে সেখানে পর্যাপ্ত চিকিৎসা না পেয়ে আবারো ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চলে আসে। এতে টিকিট কাউন্টার ও জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসারের রুমের সামনে লম্বা লাইনের সৃষ্টি হয়েছে। রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৮ ঘণ্টা, ২৮ অক্টোবর ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এসএফ

Scroll to Top