টঙ্গীতে একটি ক্যাপ তৈরির কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

গাজীপুরের টঙ্গী সাতাইশ গাজীপুরা এলাকায় একটি ক্যাপ তৈরির কারখানায় ঘটেছে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। আগুন নিয়ন্ত্রণে টঙ্গী, উত্তরা ও গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিট কাজ করছে।

রোববার রাত পৌনে নয়টার দিকে জি জে ক্যাপস অ্যান্ড হেড ওয়্যার নামের কারখানায় আগুন লাগে।কারখানা কর্তৃপক্ষের দাবি, কারখানার শ্রমিকরা কারখানায় আগুন দিয়েছে।

শ্রমিকরা জানায়, শ্রমিকদের মার্চ মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। এছাড়াও প্রতিমাসেই তাদেরকে অতিরিক্ত কাজের টার্গেট দেওয়া হতো। টার্গেট পূরণ করতে না পারলেই ওইসব শ্রমিককে চাকরি ছাড়তে বাধ্য করা হতো। এ নিয়ে শ্রমিকদের মাঝে অসন্তোষ ও ক্ষোভ বিরাজ করছিল। বকেয়া বেতন পরিশোধ ও কাজের টার্গেট নিয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষের লোকজনের সঙ্গে শনিবার দুপুরে শ্রমিকদের কথাকাটাকাটি হয়। এতে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা দুপুরের খাবারের পর কাজ বন্ধ করে দেয়।

এ নিয়ে মালিকপক্ষ, পুলিশ ও শ্রমিকপক্ষের লোকজনের মধ্যে দফায় দফায় বৈঠক হওয়ার পরও কোনো সুরাহা না হওয়ায় রাতে শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে উঠে। খবর পেয়ে থানা ও শিল্প পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শ্রমিকদের শান্ত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। একপর্যায়ে রাত পৌনে ৯টার দিকে কারখানার ৫ম তলায় দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে উঠে। এ সময় পাঁচতলা থেকে আগুনের লেলিহান শিখা চতুর্থ ও তৃতীয়তলার তৈরি ক্যাপ ও কাঁচামালে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে টঙ্গী, উত্তরা ও গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।

এ ব্যাপারে কারখানার প্রশাসনিক কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান বলেন, শ্রমিকদের কেবলমাত্র মার্চ মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে। আগামী বুধবার তাদের বেতন পরিশোধের কথা ছিল। এছাড়াও টার্গেট ফিলআপের বিষয় নিয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে একটা সমস্যা চলছিল। সমস্যা সমাধানের জন্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার ফাঁকে কারখানায় আগুন লাগিয়ে দিয়েছে শ্রমিকরা। কারখানার সবকিছু শেষ হয়ে গেছে।

এ বিষয়ে টঙ্গী পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহ আলম বলেন, পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ কাজ করছে। এছাড়াও আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা কাজ করছেন।