মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলায় ভাগ্নীকে গণধর্ষণের মামলায় তারই সৎ মামা হেলাল (৩৫) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) গভীর রাতে উপজেলার রাঢ়িখাল ইউনিয়নের মাইজপাড়া এলাকার নিজ বাড়ী থেকে ওই যুবতীর সৎ মামা ও মামলার তিন নম্বর আসামী মো হেলালকে গ্রেফতার করা হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানাগেছে, গত ৩ সেপ্টেম্বর রাতে ওই যুবতীকে ফাঁকা বাড়িতে পেয়ে তিনজন মিলে কৌশলে ঘরে ঢুকে উপর্যুপরি ধর্ষণ করে এবং ঘটনা ফাঁস না করার জন্য নানা রকম ভয়ভীতি দেখায়। পরে ওই যুবতী শ্রীনগর থানায় ভয়ভীতির কথা উল্লেখ্য করে একটি সাধারণ ডায়েরী করলেও গনধর্ষণের বিষয়টি চেপে যায়। ওই যুবতীর পরিবার অভিযোগ করেন, স্থানীয় একটি দালাল চক্র তাদেরকে থানায় ধর্ষণের মামলা করা থেকে বিরত রাখে। পরে নিরুপায় হয়ে তারা আদালতের আশ্রয় নেন। শ্রীনগর থানার ওসি (অপারেশন) হুমায়ূন কবির জানান, ভিকটিমকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য বুধবার সকালে জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি বলে মামলার বাকী আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
১৯ বছরের মুসলিম ওই যুবতী বাদী হয়ে মুন্সীগঞ্জ আদালতে দোহার উপজেলার ফুলতলা গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের লিপেন দাসের ছেলে বিশ্বজিৎ (২৫) কে প্রধান আসামী করে তিন জনের বিরুদ্ধে গনধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে তিন নম্বর আসামী করা হয় ওই যুবতীর সৎ মামা শ্রীনগর উপজেলার মাইজপাড়া গ্রামের হেলাল (৩৫) কে।
মামলায় অপর আসামী হলেন একই এলাকার ব্রজেন করের ছেলে বাবুল কর (২৮)। আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে শ্রীনগর থানা পুলিশকে মামলা রেকর্ড করে আসামীদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন। শ্রীনগর থানা পুলিশ গত সোমবার মামলাটি রেকর্ড করে আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য মাঠে নামে। কৌশলে মামলার আসামী সৎ মামা হেলালকে গ্রেপ্তার করে বুধবার সকালে আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৩ ঘণ্টা, ১৮ অক্টোবর, ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/নীল