রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলায় জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ-২০২০ উপলক্ষে ত্রাণ বিতরণের কথা জানতে পেরে উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভিড় করেন পাংশা পৌর এলাকার ৫ শতাধিক হতদারিদ্র মানুষ। ত্রাণ না পেয়ে এক পর্যায়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আনজুয়ারা খাতুনসহ (সুমি) অন্যান্য ডাক্তারদের আধা ঘণ্টা অবরোধ করে রাখেন তারা। পরে পাংশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে রাজবাড়ী পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে। ত্রাণ নিতে আসা হতদরিদ্ররা বলেন, গতকাল সোমবার হাসপাতালে থেকে ডা. মোসাম্মাৎ আনজুয়ারা খাতুন (সুমি) সরকারীভাবে গোপনে কয়েকজনকে ত্রাণ সহায়তা প্রদান করেন।
আজকে ত্রাণ বিতরণ করা হবে এমন তথ্য জানতে পেরে আমরা এখানে এসে অবস্থান করি। ত্রাণ নিতে আসা ব্যক্তিরা আরো বলেন আমরা ত্রাণ না পেলে হাসপাতাল ত্যাগ করবো না। এসময় সুমির বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তোলেন বিক্ষুব্ধরা।
আধা ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার ঘটনাটি স্বীকার করেন পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার তরুন কুমার পাল।
এ ব্যাপারে ডা. মোসাম্মাৎ আনজুয়ারা খাতুন (সুমি) বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে এ বছর খাদ্য সহায়তা বিতরণের নির্দেশনা আসে। সেই নির্দেশনা মোতাবেক ৮৫ হাজার টাকার মধ্যে ১০ হাজার টাকা হাসপাতালের বিভিন্ন উপকরণ ক্রয়ের জন্য রেখে বাকি ৭৫ হাজার টাকা ত্রাণের জন্য বরাদ্দ করে ২৭ এপ্রিল (মঙ্গলবার) ৭৫ জনের মধ্যে খাদ্য সহায়তা বিতরণ করি। সেটা জানার পর আজ হতদরিদ্ররা দল বেঁধে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভিড় করে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।
এ ব্যাপারে পাংশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোসাম্মাৎ আনজুয়ারা খাতুন (সুমি) আমাকে অবহিত না করেই নিজে নিজে এ কার্যক্রম হাতে নিয়েছে।
ত্রাণ বিতরণের বিষয়টি জানাজানি হলে আজ প্রায় তিন শতাধিক হতদারিদ্র মানুষ খাদ্য সহায়তার জন্য হাসপাতালে আসে। এক পর্যায় চিকিৎসকরা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। বিষয়টি জানার পর আমি দ্রুত হাসপাতালে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করি। বিক্ষুব্ধদের একটি তালিকা তৈরি করি এবং খাদ্য সহায়তার আশ্বাস দিলে হতদরিদ্র বিক্ষুব্ধরা হাসপাতাল ত্যাগ করেন।