আজ ফরিদপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র মির্জা জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে ত্রাণ বিতরণে বিশৃঙ্খলা ও মাপে কম দেওয়ার অভিযোগে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বুধবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে পৌর এলাকার রঘুনন্দনপুর গ্রামে ত্রাণসামগ্রী গ্রহণকারীরা অভিযোগ করেন, শুরু থেকেই পৌর প্যানেল মেয়র মির্জা জাকির ত্রাণ বিতরণের সময় এক কেজি ও কারো দুই কেজি পর্যন্ত চাল কম দেন। পরে এ নিয়ে সেখানে বিক্ষোভ শুরু করেন ত্রাণ প্রত্যাশীরা।
শহরের গোয়ালচামট এলাকায় ইছহাক নামে এক ব্যক্তি জানান, প্যানেল মেয়র মির্জা জাকির চাল কম দেওয়ায় বিক্ষোভ শুরু করেন ত্রাণ প্রত্যাশীরা। পরে খবর পেয়ে পৌর মেয়র শেখ মাহতাব আলী মেথু ও র্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে প্রায় ৩০০ লোককে এক থেকে দুই কেজি করে চাল কম দেন প্যানেল মেয়র মির্জা জাকির।
শহরের গোয়ালচামট এলাকার মনির নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি আরও অভিযোগ করেন, প্যানেল মেয়র মির্জা জাকির ত্রাণ বিতরণের পর কমপক্ষে ১০ জনের চাল মেপে দেখেছি। তাদের প্রত্যেকের প্রায় এক কেজি করে চাল কম ছিল।
ফরিদপুর পৌরসভার মেয়র শেখ মাহতাব আলী মেথু জানান, বুধবার দিনব্যাপী পৌর এলাকার ২৭টি ওয়ার্ডের ৫৪টি স্থানে ৬২ মেট্রিক টন চাল ১২ হাজার ৪০০ পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হয়। এ সময় প্রত্যেক পরিবারকে পাঁচ কেজি করে চাল দেওয়া হয়। যা প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ তহবিল থেকে প্রাপ্ত।
তিনি জানান, চাল কম দেওয়ার অভিযোগ পাওয়ার পর আমি নিজে ঘটনাস্থলে উপস্থিত সবাইকে পাঁচ কেজি করে চাল দিয়েছি।
ফরিদপুর সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুম রেজা জানান, পৌর সভার এক নম্বর (সাবেক) ওয়ার্ডে ও কাউন্সিলর এবং প্যানেল মেয়র মির্জা জাকির হোসেন খোদাবক্স রোড়ে ও রঘুনন্দনপুর গ্রামে দরিদ্র মানুষের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করার সময় বিশৃঙ্খল পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এছাড়াও মাপে কম দেওয়ার অভিযোগ উঠে তার বিরুদ্ধে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক জেলা প্রশাসনের নির্ব াহী ম্যাজিস্ট্রেট আফরোজ শাহীন খসরু জানান, চাল কম দেওয়ার অভিযোগে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি ওজন পরিমাপের মেশিন ভেঙে ফেলা হয়েছে। যেহেতু ভ্রাম্যমাণ আদালত হাতে নাতে না ধরে বিচার করতে পারে না তাই সরকারি কাজ পরিচালনায় ব্যর্থ হওয়ায় প্যানেল মেয়র মির্জা জাকিরকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।