ধার্যকৃত দামের চেয়ে বেশি দামে মাস্ক বিক্রি ও অবৈধ ওষুধ মজুদ রাখায় নারায়ণগঞ্জে অভিযান চালিয়ে আট ফার্মেসিকে ১ লাখ ৫ হাজার টাকা জরিমানা ও একজনকে একমাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সঙ্গে বিভিন্ন ফার্মেসিকে মুচলেকার মাধ্যমে সতর্ক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে কালির বাজারের পাইকারি ও খুচরা ওষুধ মার্কেটে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান ফারুক, আবদুল মতিন ও নাছরীন আক্তার যৌথভাবে এ অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর নারায়ণগঞ্জ জেলার সহকারী পরিচালক মো. ইকবাল হোসেন।
অতিরিক্ত মূল্যে মাস্ক বিক্রি করায় নূরুল মেডিক্যাল কর্নারের কর্মচারী বিশ্বজিত দাসকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া নুরুল মেডিকেল কর্নার, রাজু মেডিক্যাল কর্নার, হাসান ফার্মেসি, হক ফার্মেসিসহ আট ফার্মেসিকে মোট ১ লাখ ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান ফারুক বলেন, করোনাভাইরাসকে কেন্দ্র করে সার্জিক্যাল মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজারের দাম অধিক বাড়িয়েছে ব্যবসায়ীরা। এতে জনগণের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। সেই প্যানিক দূর করতেই আমাদের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. জসিম উদ্দিনের নির্দেশনায় এখানে এসে তিনজন ম্যাজিস্ট্রেট অভিযান চালাই।
‘আমরা মাস্কের অধিক মূল্য দেখতে পাই। যখন ক্রেতা হিসেবে সেখানে যাই দেখি স্বল্পমূল্যের প্রত্যেকটা মাস্ক ৫০ টাকা করে বিক্রি করছে। তাই ভোক্তা অধিকার আইনে একজনকে একমাসের জেল দিয়েছি।’
এছাড়া বিভিন্ন ফার্মেসিতে অভিযান চালিয়ে মোট ১ লাখ ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ফার্মেসিগুলো থেকে মুচলেকা নেওয়া হয়েছে। ওষুধ পরিদফতরের পক্ষ থেকে প্রতিটি ফার্মেসিতে মূল্যতালিকাও দেওয়া হয়েছে। জনস্বার্থে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।