রাজধানীর উত্তরার আবদুল্লাহপুরের মাছের বাজারে অভিযান চালিয়ে ক্ষতিকর জেলি মিশ্রিত ২০ মণ বাগদা চিংড়ি জব্দ করেছে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে এসব চিংড়ি পুড়িয়ে ফেলা হয়।
মঙ্গলবার ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত মৎস অধিদফতরের সহায়তায় র্যাব-৪ এ অভিযান চালায়। র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিজাম উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে এ অভিযান চলে।
র্যাব-৪ এর কর্মকর্তারা জানান, তাদের কাছে তথ্য ছিল ব্যবসায়ীরা অবৈধ নানা কৌশলে বাগদা চিংড়ির ওজন বাড়াচ্ছে। এর সত্যতা নিশ্চিত হয়ে ভোরে আবদুল্লাহপুরে মাছের বাজারে অভিযান চালানো হয়। সেখানে বাগেরহাট মৎস্য আড়ত ও মিম মৎস্য আড়ত থেকে ২০ মণ বাগদা জব্দ করে তা যাচাই করলে সবগুলোতেই জেলি পাওয়া যায়। তবে অভিযানের তথ্য পেয়ে দুই আড়তের মালিক পালিয়ে গেলেও দুই ম্যানেজারকে ৯০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, সাতক্ষীরাতেই তরল জেলি সিরিঞ্জের মাধ্যমে বাগদা চিংড়ির মাথার ফাঁকা অংশে ঢুকিয়ে দেওয়া হতো। বরফের মধ্যে রাখলে এই জেলি শক্ত হয়ে চিংড়ির ওজন বেড়ে যেত। এতে ক্রেতা যেমন প্রতারিত হতেন তেমনি এসব জেলি শরীরের জন্যও ক্ষতিকারক। এ জন্য জব্দ করা চিংড়িগুলো আব্দুল্লাহপুরের অদুরে সিটি করপোরেশনের ডাম্পিং স্টেশনে পুড়িয়ে ধংস করে ফেলা হয়েছে।