বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের ছাত্র আবরার আহমেদ চৌধুরীর সেই ঘাতক গাড়িচালক সিরাজুল ইসলাম প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন। সে প্রতিনিয়ত মাদকদ্রব্য সেবন করতেন। নিয়মিত গাঁজা সেবন করতে হয় তার। গাঁজা সেবন ছাড়া গাড়ি চালাতে পারেন না ওই ঘাতক বাস চালক সিরাজুল। গাঁজা সেবেন করে ও সারা রাত না ঘুমিয়ে গাড়ি চালানোর জন্যই ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে। এমনটাই পুলিশের কাছে জানিয়েছেন সিরাজুল। বুধবার সিরাজুলকে সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারী। পরে তাকে আদালত থেকে হাজতে নেয়া হয়।
গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে সিরাজুল বলেন, সেদিন সারা রাত না ঘুমিয়ে গাড়ি চালাচ্ছিলাম। রাত জাগার কারণে মাথা ঠিক ছিল না। প্রথমে একটি মেয়ে গাড়ি চাপা পড়লে বাঁচার জন্য দ্রুত গাড়ি চালাতে থাকি। তখন মনে ভয় কাজ করছিল। কিছুটা দূরে আরেকজনকে (আবরার) আবার চাপা দেই। তার মাথার ওপর দিয়ে গাড়ির চাকা ওঠে যায়। পরে ট্রাফিক পুলিশ অামাকে গ্রেফতার করে।
গুলশান থানার ওসি (অপারেশন) আমিনুল ইসলাম বুধবার বেলা পৌনে ৩টার দিকে ঢাকা মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারীর আদালতে ঘাতক বাস চালক সিরাজুলকে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে সিরাজুলকে সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, সিরাজুল ইসলাম নিয়মিত গাঁজা সেবন করতেন। সে গাঁজা সেবন ছাড়া গাড়ি চালাতে পারেন না। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আমাকে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। গাঁজা খেয়ে ও সারা রাত জেগে গাড়ি চালানোর জন্যই এ দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে আসামি।