সবেমাত্র সপ্তম শ্রেণিতে পড়াশোনা। এরই মাঝে বয়ফ্রেন্ডের লালসার শিকার হয়েছে এক ছাত্রী। ডেটিংয়ে নিয়ে একাধিকবার ওই ছাত্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ট হয়েছে কলেজছাত্র। একপর্যায়ে ওই ছাত্রী অন্ত:সত্ত্বা হয়ে পড়লে বিপত্তি বাঁধে।
এবার তাকে অবহেলা ও এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে ওই ছাত্র। একপর্যায়ে ওই ছাত্রীকে কলেজছাত্র শিপন গর্ভপাতের জন্য চাপ দেন। এতে রাজি না হওয়ায় কৌশলে তাকে টেবলেট খাইয়ে গর্ভপাত করানো হয়।
এতে প্রচুর রক্তক্ষরণে অসুস্থ হয়ে পড়লে ওই ছাত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিকে ওই ঘটনায় ছাত্রীর মা কলেজছাত্র শিপনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
চাঞ্চল্যকর ওই ঘটনাটি ঘটেছে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার করমজা ইউনিয়নের পুন্ডুরিয়া গ্রামে। সাঁথিয়া থানায় দায়ের করা লিখিত অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার করমজা ইউনিয়নের পুন্ডুরিয়া গ্রামের প্রবাসী জহির উদ্দিনের ছেলে বেড়া সরকারি ডিগ্রি কলেজের ছাত্র শিপন হোসেন ৭ম শ্রেণিতে পড়ুয়া মাদ্রাসা ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে।
প্রেমের সম্পর্ক চলাকালে ওই ছাত্রী অন্ত:সত্ত্বা হয়ে যায়। শিপনকে বিয়ে করতে বললে তালবাহানা শুর“ করে। এক পর্যায়ে শিপন কৌশলে ট্যাবলেট খাইয়ে ওই ছাত্রীর গর্ভপাত ঘটায়। এতে প্রচুর রক্তক্ষরণে ওই ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বেড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় বৃহস্পতিবার তাকে পাবনা সর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।
এ ব্যাপারে ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে সাঁথিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ডিউটি অফিসার এএসআই ইউসুফ বলেন, মামলার পর আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।