শাশুড়িকে পাঁচতলা থেকে ফেলে দিলো জামাই

পরকীয়ার কারণে অশান্তি নেমে এসেছে সামাজিক জীবনে। ভেঙে যাচ্ছে সুখের পরিবার। ফলে নিরপরাধ শিশুরাও বঞ্চিত হচ্ছে মা-বাবার আদর। পরকীয়ার শেষ পরিণতি কখনো ভালো হয় না। এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে ফেনীতে।

মেয়ের পরকীয়া প্রেমের জের ধরে মাকে পাঁচতলা থেকে ফেলে হত্যার অভিযোগ উঠেছে মেয়ের স্বামীর বিরুদ্ধে।

রোববার সকালে শহরের পাঠানবাড়ি সড়কের পুরাতন রেজিস্ট্রি অফিস সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত লায়লা বেগম (৫০) ফুলগাজী উপজেলার দক্ষিণ আনন্দপুর গ্রামের বরকত উল্যা এলাকার কামাল উদ্দিন পাটোয়ারীর স্ত্রী। এ ঘটনায় জামাতা জাহাঙ্গীর আলম সবুজকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

নিহতের দেবর জয়নাল আবেদীন পাটোয়ারী জানান, তার ভাতিজি জান্নাতুল ফেরদৗস পিংকির সঙ্গে প্রায় ১১ বছর আগে ছাগলনাইয়া উপজেলার পশ্চিম ছাগলনাইয়া গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম সবুজের বিয়ে হয়। বিয়ের পর সবুজ সৌদিআরব চলে যায়। গত কয়েক বছর ভাতিজি পিংকি তার দুই সন্তান দিয়ে ফেনী শহরের পাঠানবাড়ি সড়কের পুরোতন রেজিস্ট্রি অফিস সংলগ্ন একটি বাসায় ভাড়া থাকতো। সম্প্রতি পিংকি পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েছে বলে তার স্বামী সবুজ তার শাশুড়িকে জানায়। এ নিয়ে উভয় পরিবারে মধ্যে বেশ কয়েকবার ঝামেলা হয়।

শুক্রবার পিংকির স্বামী সবুজ দেশে ফিরে আসে। এরপর থেকে পরকীয়া প্রেমের জেরে স্ত্রী পিংকিকে ব্যাপক মারধর করে স্বামী। মেয়েকে মারধর কারার সময় মা লায়লা বেগম বাধা দিলে তাকেও মারধর করে সবুজ। একপর্যায়ে রোববার সকালে সবুজ তার স্ত্রী পিংকিকে ফের মারধর করলে শাশুড়ি লায়লা বেগম বাধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শাশুড়িকে পাঁচ তলার ওপর থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় সবুজ।

ফেনী জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আবু তাহের বলেন, লায়লা বেগম নামে এক নারীকে জরুরি বিভাগে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহের ময়নাতদন্ত হলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

এ বিষয়ে ফেনী মডেল থানা পুলিশের ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য ওই নারীর মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যার বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। জামাতার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Scroll to Top