বাসরঘরে রক্তাক্ত বর!

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে বাসরঘরে ছুরিকাঘাতে রক্তাক্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন দেলোয়ার হোসেন নামে এক ব্যক্তি।

সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে উপজেলার গুপ্টি পশ্চিম ইউনিয়নের লাউতলী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তবে বর কিভাবে রক্তাক্ত হলেন, তা নিয়ে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে।

স্থানীয়রা জানান, গত সোমবার উপজেলার পূর্ব লাউতলী গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে একই উপজেলার চরমান্দারী ভূঁইয়া বাড়ির মেয়ে শ্যামলী আক্তারের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়।

ওইদিন রাত ২টার দিকে বাসরঘর থেকে বর দেলোয়ার হোসেনের চিৎকার শুনে সেখানে গিয়ে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান স্বজনরা। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কুমিল্লায় নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে তিনি কুমিল্লার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বাসরঘর এবং বাইরে বউভাতের জন্য তৈরিকৃত প্যান্ডেল এবড়ো থেবড়ো অবস্থায় পড়ে রয়েছে। স্থানীয় লোকজন ধারণা করছে, নববধূ শ্যামলী আক্তার তার স্বামী দেলোয়ার হোসেনকে ছুরিকাঘাত করেছে। আবার কেউ কেউ বলছেন, বর নিয়েই এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।

এদিকে বরের এক ভাইয়ের বরাত দিয়ে অন্য একটি সূত্র জানায়, নবদম্পতির মধ্যে মনোমালিন্য হওয়ার কারণে বর নিজেই নিজেকে আহত করেছে। পরে তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হলে, নববধূও স্বামীকে দেখতে সেখানে যান।

বর দেলোয়ারের বোন রুনা বেগম জানান, ভাই দেলোয়ারের চিৎকার শুনে বাসর ঘরে ঢুকে ভাইকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান। কিভাবে সে আহত হয়েছে তা জানেন না তিনি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মাসুদ আলম জানান, আমি রাতেই ঘটনাটি শুনেছি। ঘটনার পরই আহত দেলোয়ারকে হাসপাতালে নিয়ে যায় তার স্বজনরা।

এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হারুনুর রশীদ চৌধুরী বলেন, স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে শুনে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখনও কেউ অভিযোগ করেনি।

Scroll to Top