এবার পাকস্থলিতে করে রাজধানীতে ইয়াবা নিয়ে আসছে ব্যবসায়ীরা। পলিথিনে ক্যাপসুলের মতো পেঁচিয়ে ওষুধের মতো খেয়ে তা পাকস্থলীতে করে ঢাকায় সরবরাহ করা হয়। আর এ কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে শিশু কিশোরদেরও। গোয়েন্দারা বলছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজর এড়াতেই এই পদ্ধতি।
জসিম ও শাহজাহান। ১৩ ও ১৪ বছরের এই দুই কিশোরকে দেখে বোঝার উপায় নেই তাদের অপরাধের ধরন। অথচ এই দুই কিশোর তাদের পাকস্থলিতে বহন করছে হাজারের বেশি ইয়াবা। যা তারা বহন করে নিয়ে এসেছে দেশের সীমান্ত এলাকা থেকে।
দুজনকে নিয়ে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে পরীক্ষা করায় গোয়েন্দা পুলিশ। পরে তাদের শরীরে এক্সরে করে দেখা যায় দু\’জনের পাকস্থলিতে পলিথিনে মোড়ানো ক্যাপসুল আকৃতির বস্তু। যার প্রতিটি ক্যাপসুলে ৫০ টি করে ইয়াবা মোড়ানো থাকে। এতে করে একজন ব্যক্তি প্রায় দুই হাজারের মত ইয়াবা বহন করে পাকস্থলিতে। কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের পুলিশ সুপার ডা. ইমদাদুল হক এক্সরে রিপোর্ট পরীক্ষা করে তাদের পাকস্থলিতে থাকা ইয়াবা ট্যাবলেট গুলো সনাক্ত করে জানান, \’অনেক গুলো ট্যাবলেট বলে মনে হচ্ছে।\’
জসিম ও শাহজানের মত আরো অনেকে দিনমজুরের বেশ ধারন করে এই বিশেষ পদ্ধতিতে টেকনাফ থেকে ইয়াবা নিয়ে আসে ঢাকার কেরানীগঞ্জের একটি বাসায়। সেখানে স্বপন নামের এক ব্যবসায়ীর হাত হয়ে তা বিভিন্নস্থানে সরবরাহের দায়িত্ব পড়ে লোকমান ও রঞ্জুর উপর। পরে, গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান চালিয়ে লোকমান ও রঞ্জুকে ইয়াবার চালান সহ আটক করে। তারা বলেন, বিশেষ ওষুধ ব্যবহারের মাধ্যমে পায়ুপথে তা বের করে মিরপুরে বিক্রি করা হত।
গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, অব্যাহত অভিযানের পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজর এড়াতে বিশেষ এই পদ্ধতি ব্যবহার করছে ব্যবসায়িরা। আর বেশী টাকার লোভে এমন কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ছে অনেকে।
ঢাকা মহানগর উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের ডিসি মশিউর রহমান বলেন, \’ঢাকা কেন্দ্রীক ব্যবসায়ী ও বিপননকারী এবং চট্ট্রগ্রাম ও কক্সবাজারে যারা ইয়াবা বিক্রি করতো তাদেরকে আমরা গ্রেপ্তার করতে পেরেছি। আমাদের ধারণা বেশ কিছু চক্র আছে যারা ভাড়া নিয়ে এভাবে ইয়াবা ব্যবসা করছে।\’
ইয়াবা পাচারের এই কৌশলে রোহিঙ্গা শিশুদেরও ব্যবহার করা হয় বলে জানিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ।
ভিডিও
সূত্রঃ ডিবিসি নিউজ