গত ৮ জানুয়ারি অসামাজিক কাজ করার জন্য রাতে রাস্তা থেকে ২২ বছরের এক তরুণীকে নিয়ে ফতুল্লার ভোলাইলের একটি মাঠে নিয়ে যায় জুয়েল ও তার বন্ধুরা। পরে টাকা নিয়ে ওই তরুণীর সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়।
একপর্যায়ে জুয়েল ও তার বন্ধুরা মিলে মেয়েটিকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওই তরুণীকে হত্যা করে মাঠেই ফেলে রেখে যায় তারা।
গত ৯ জানুয়ারি ওই তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনার ২০ দিনের মাথায় গ্রেফতার হয় ঘাতক জুয়েল। গ্রেফতারের পর মঙ্গলবার ১৬৪ ধারায় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ন কবিরের আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন তিনি।
জুয়েল জবানন্দিতে জানান, ওই রাতে তারা ৯ জন ছিলেন। টাকা নিয়ে ঝামেলা হওয়াতে একপর্যায়ে সবাই মিলে ওই তরুণীকে খুন করেন। জুয়েল আদালতে বাকি আসামিদেরও নাম প্রকাশ করেছেন। গ্রেফতার জুয়েল ভোলাইল এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (আইসিপি) গোলাম মোস্তফা জানান, গত ৯ জানুয়ারি ফতুল্লার ভোলাইল এলাকায় পরিত্যাক্ত জায়গা থেকে ২২ বছর বয়সী ওই তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জুয়েলকে ভোলাইল এলাকা থেকে গ্রেফতারের পরে সে আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে ও কিলিং মিশনে থাকা বাকিদের নাম জানিয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে সকলের নাম প্রকাশ করা সম্ভব নয়। হত্যাকাণ্ড জড়িত বাকি আসামিদের গ্রেফতার ও নিহতের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।