শিক্ষকের সঙ্গে ১ম বর্ষের ছাত্রীর অন্তরঙ্গ ‘সেলফি’, তোলপাড়!

পড়াশোনার সুবিধার কথা বলে বাসায় ডেকে নিয়ে ছাত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর এক শিক্ষককে নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। তাদের অন্তরঙ্গ সেলফি ফেইসবুকে প্রকাশ করার পর থেকে এনিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এঘটনার পর ওই ছাত্রীকে শিক্ষকের বাসা থেকে নিয়ে গেছেন তারা বাবা। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় মদিনাতুল উলুম মডেল ইনষ্টিটিউট আলীম মাদরাসার প্রিন্সিপালের এমন কাণ্ডে বিব্রত মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটিও। ওই মাদরাসার প্রিন্সিপাল ছৈয়দ হোসেন আলীম ১ম বর্ষের এক ছাত্রীর অর্ন্তরঙ্গ সেলফি তুলেছেন যা ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

স্থানীয়রা জানান, নাইক্ষ্যংছড়ি মদিনাতুল উলুম মডেল ইনষ্টিটিউট আলীম মাদরাসার প্রিন্সিপাল ছৈয়দ হোসেন লেখাপড়ার সুবিধার্থে মাদ্রাসার আলীম প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীকে তার নিজবাড়িতে রাখেন। গত শনিবার প্রথম বর্ষের ওই ছাত্রীর সঙ্গে তার অন্তরঙ্গ সেলফি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসুবকে ছড়িয়ে পড়ে। ছবিতে দেখা যায় মাদরাসার প্রিন্সিপাল গায়ে চাদর মুড়িয়ে ছাত্রীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ মূহুর্তের দৃশ্য। ছবিটি ছড়িয়ে পড়ার মাদ্রাসার ছাত্রী এবং অভিভাবকদের মাঝেও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ছবি ছড়িয়ে পড়ার পর ছাত্রীর অভিভাবক ওই ছাত্রীকে প্রিন্সিপালের বাসা থেকে পরিবারের কাছে নিজের বাড়িতে নিয়ে গেছেন।

অভিযোগের বিষয়ে মাদরাসা সুপার ছৈয়দ হোসেন বলেন, কোনো ছবির বিষয়ে আমি জানিনা। ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়া ছবির কথা বললে উত্তর না দিয়েই লাইন কেটে দেন শিক্ষক।

এ ব্যাপারে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান ও মাদরাসা গর্ভনিংবডির সদস্য তসলিম ইকবাল চৌধুরী বলেন, বিষয়টি নিয়ে দুয়েক দিনের মধ্যে মাদরাসা কমিটি বৈঠক করা হবে। তারপর তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সাদিয়া আফরিন কচি।

লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/বিএনকে

Scroll to Top