কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় রওশন আরা (৪০) নামে এক ইয়াবা ব্যবসায়ী মা’কে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন ছেলে সাহেব। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ তাকে আটক করে।
আটক রওশন আরা উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডস্থ আলীপুর এলাকার মৃত হাবিব উল্লাহর স্ত্রী।
জানা যায়, হাবিব উল্লাহ-রওশন আরা দম্পত্তির সংসারে রয়েছে দুই সন্তান। বড় ছেলে সাহেব ম্যাজিক গাড়ির চালক। বড় ছেলের আয়ে ভালই চলছিল তাদের সংসার। কিন্তু গত ছয় মাস আগে রওশন আরার সঙ্গে পরিচয় হয় স্থানীয় যুবক ম্যাজিক চালক পারভেজের। স্থানীয়দের মতে পারভেজ গাড়ি চালানোর আড়ালে মাদক ব্যবসা করে আসছে। পারভেজ টাকার লোভ দেখিয়ে রওশন আরাকে দিয়ে এলাকায় ইয়াবার কারবার শুরু করে। ঘটনাটি ছেলে সাহেব জানতে পেরে মাকে বকাঝকা করে। কিন্তু এতেও রওশন আরা ব্যবসা বন্ধ না করায় স্থানীয় মেম্বারের কাছে বিচার দেয়। কিন্তু পারভেজ বিভিন্ন কৌশলে সেই বিচার বন্ধ করে রাখে। চলতে থাকে তাদের ইয়াবা ব্যবসা।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ইয়াবার কিছু চালান আসে রওশন আরা হাতে। ছেলে সাহেব সে বিষয়টি জানতে পেরে ইয়াবাগুলো সরিয়ে ফেলে। ইয়াবার সরনোর ঘটনাটি জানতে পেরে পারভেজের লোকজন রাত ৮টার দিকে তাকে ধরে হারবাং এর একটি পাহাড়ে নিয়ে মারধর করে।
হারবাং ইউপি চেয়ারম্যান মো. মিরানুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে ঘটনাটি জানতে পেরে স্থানীয় মেম্বার ও চৌকিদার নিয়ে ওই পাহাড়ে গিয়ে সাহেবকে উদ্ধার করি। এসময় পারভেজকে আটক করে রাখি। পরে চকরিয়া থানার ওসি বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী ও হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির আইসি তোফাজ্জল হোসেনকে খবর দিলে তারা পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পারভেজকে আটক করে ফাঁড়িতে নিয়ে আসে।
হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির আইসি মো.তোফাজ্জল হোসেন বলেন, চেয়ারম্যানের কাছ থেকে খবর পেয়ে ওসি স্যারসহ পুলিশ ফোর্স নিয়ে পাহাড়ে গিয়ে পারভেজকে আটক করি। পরে তার স্বীকারোক্তি নিয়ে রওশন আরাকে আটক করি এবং তার বাড়ি থেকে ৩৭৫ পিস ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করি।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.ব খতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, এঘটনায় রওশন আরা ও পারভেজকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময় : ১৪৫২ ঘণ্টা, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭,
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/ডিএ
