রাজধানীর বাসায় ঢুকে এক কিশোরী (১৭) গৃহবধূকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। দীন ইসলাম নামের এক বখাটেসহ স্থানীয় ৪/৫ জন বাসায় ঢুকে ওই গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। ঘটনার রাতেই তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছে পুলিশ। ৩০ আগস্ট (বুধবার) বিকালে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন কিশোরীর স্বামী।
তিনি জানান, রামপুরার ওয়াপদা রোডের জাহাজ বিল্ডিং এলাকার একটি ভাড়া বাসায় থাকেন তারা। তিনি বাসা থেকে বাইরে গেলে দ্বীন ইসলাম তার সঙ্গে ৪/৫ জনকে নিয়ে বাসায় ঢোকে। তারা তার স্ত্রীকে জোর করে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।
পরে তিনি বাসায় ফিরে ঘটনাটি জানতে পেরে রাতে স্ত্রীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেন। প্রয়োজনীয় পরীক্ষার জন্য তার স্ত্রীকে প্রথমে গাইনি বিভাগে ও পরে ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘গণধর্ষণের শিকার এক গৃহবধূকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আমরা রামপুরা থানায় বিষয়টি জানিয়েছি।’
তবে রামপুরা থানার ওসি প্রলয় কুমার সাহা জানান, ‘ঘটনাটি প্রাথমিকভাবে রহস্যজনক মনে হচ্ছে। ঘটনা সম্পর্কে দুই ধরনের ভাষ্য পাওয়া গেছে। ওই গৃহবধূর পুরনো প্রেমিককে নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য রয়েছে। গতকালও এ নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয়। পরে কিশোরী অভিমান করে ঘুমের ওষুধ খান বলে জানা গেছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।’
গৃহবধূর প্রেমিকের ওই বাসায় যাওয়া নিয়েও কিছু ঝামেলার কথা শোনা যাচ্ছে। ঘুমের ওষুধের প্রভাবে রাতেও তিনি ভালোভাবে কথা বলতে পারছিলেন না। গৃহবধূর স্বামীর অভিযোগ গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে তদন্ত চলছে। প্রকৃতপক্ষে কী ঘটেছে তা তদন্তের পর বলা যাবে বলেও জানান ওসি।
ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক বলেন, মেয়েটিকে গাইনি বিভাগে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। পরে তাকে ওসিসিতে পাঠানো হবে।
বাংলাদেশ সময় : ১৫৫৪ ঘণ্টা, ৩১ আগস্ট, ২০১৭,
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এ