টাঙ্গাইলের সখীপুরে এবার আপন খালুর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রী (১৪)।
গতকাল বুধবার (৩০ আগষ্ট) রাতে ওই ছাত্রী বাদী হয়ে তার খালুর বিরুদ্ধে সখীপুর থানায় ধর্ষণের মামলা করেছে।
মামলাটি আমলে নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকালে ওই ছাত্রীকে (১৪) ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।
মামলার বিবরণ এবং ওই ছাত্রীর পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ওই ছাত্রীর বড় খালার জামাই উপজেলার দেওবাড়ী গ্রামের সমেশ উদ্দিন (৩৫) স্কুলে যাওয়া আসার পথে তাকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। প্রায় দুই মাস আগে বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে নির্জন বনের ভেতরে নিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ওই ছাত্রীকে প্রথমবার ধর্ষণ করেন। গত ৭ জুলাই বাড়িতে একা পেয়ে দ্বিতীয় দফায় তার খালু তাকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় অতিষ্ট হয়ে ওই ছাত্রী ঘটনাটি তার মা-বাবার কাছে প্রকাশ করে।
পরে ওই ছাত্রীর পরিবার থানায় মামলা করতে চাইলে স্থানীয়রা বষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করেন। কিন্তু অভিযুক্ত সমেশ তাতে সাড়া দেয়নি।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুর রউফ তালুকদার বলেন, যে ব্যক্তির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়েছে, তিনি একজন মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে এলাকায় পরিচিত। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মিমাংসা করতে অভিযুক্ত সমেশ উদ্দিনকে বারবার ডাকা হয়েছে। কিন্তু সে আসেনি।
ছাত্রীর মা বলেন, বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে প্রথমবার ধর্ষণের শিকার হয় তাঁর মেয়ে। এরপর থেকে তাঁর মেয়ে আর বিদ্যালয়ে যেতে চায়নি।
অভিযোগ ওঠা ব্যক্তির বক্তব্য জানতে তাঁর মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা চালানো হয়। তাঁর স্ত্রী মুঠোফোন ধরে বলেন, ‘ঘটনাটি শুনছি। এটা খুবই লজ্জার। ঘটনাটি সত্য না মিথ্যা, তা বুঝতে পারছি না। তবে আমার স্বামী অপরাধ করলে আমি তাঁর বিচার চাই।’
সখীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহিদুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার সকালে ডাক্তারি পরীক্ষা করতে মেয়েটিকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময় : ১৫০৩ ঘণ্টা, ৩১ আগস্ট, ২০১৭,
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/ডিএ