কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়ার রূপালী ব্যাংকে ডাকাতি করতে এক মাস আগেই পরিকল্পনা করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। একাধিকবার রেকি করে ব্যাংকে হানা দেয় ডাকাত দল।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য দেন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম।
তিনি বলেন, এরা কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য, ডাকাতিতে সফল হলে বড় গ্যাং তৈরি করার পরিকল্পনা ছিলো। এক মাস আগেই পরিকল্পনা করেছিল তারা। একাধিকবার রেকি করে ব্যাংকে হানা দেয় ডাকাত দল।
মাজহারুল ইসলাম বলেন, ডাকাতির সঙ্গে ব্যাংকের কারও সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। তবে রিমান্ডে পেলে এ বিষয়ে বিস্তর জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
আর সিসিটিভির হার্ডডিস্ক এখনও পাওয়া যায়নি জানিয়ে ওসি বলেন, ব্যাংকে ঢুকেই সিসিটিভির হার্ডডিস্ক খুলে ফেলে তারা। হার্ডডিস্ক এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এদিকে ডাকাতি চেষ্টার ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) রাতে পুলিশ বাদী হয়ে কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ থানায় দস্যুতার মামলা করেছে। গ্রেফতার তিনজনকে বিকেলে আদালতে তুলে ৭ দিন করে রিমান্ড আবেদন করা হবে।
বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে রূপালী ব্যাংকের জিঞ্জিরা শাখায় ডাকাতদল প্রবেশ করে। এরপর ভবনের ভেতরে ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ উপস্থিত সবাইকে সংঘবদ্ধ ডাকাতদল জিম্মি করে ফেলে। ডাকাতির চেষ্টা করে তিনজন। ঘটনাটি টের পেয়ে ব্যাংকের প্রধান ফটকে তালা দিলে ভেতরে আটকা পরে ডাকাতরা। পরে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা পর যৌথ বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে তারা।
জানা যায়, খেলনা পিস্তল দিয়ে রোমাঞ্চের নেশায় আইফোন কেনার উদ্দেশ্যে ডাকাতি করে তারা।