ত্রাসের রাজত্বের মাধ্যমে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন পাবনা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর পরিবার। যার নেপথ্যে ছিলেন তারই ছেলে আসিফ।
এছাড়াও, পরিবারটির বিরুদ্ধে জমি দখল, অবৈধ বালু ব্যবসা ও চাঁদাবাজিসহ নানা দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। ইতোমধ্যে গ্রেফতার হয়েছেন টুকু। তবে পলাতক রয়েছেন এসব দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত তার পরিবারের অনেকেই।
সরেজমিন দেখা গেছে, পাবনার বেড়ার বৃশালিখা এলাকায় বালু ফেলে ভরাট করা হয়েছে ইছামতী নদী। সেখানে, সুইমিংপুল তৈরি করছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা আসিফ সামস রঞ্জন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিনি শামসুল হক টুকুর ছেলে।
শুধু নদী খেকো নয়, টুকুর পরিবারের দখলে ছিলো সরকারি জলাধার থেকে নৌবন্দরও। অভিযোগ রয়েছে, অবৈধভাবে বালু ব্যবসা করেও কামিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। জমি দখল থেকে চাকরি দেয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগও আছে পরিবারটির বিরুদ্ধে।
একসময় পাবনা জজকোর্টের উকিল ছিলেন টুকু। ২০০৮ সালের নির্বাচনে অংশ নিয়ে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। তারপরই, যেন আলাদীনের চেরাগ পেয়ে বসেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হন তার ছেলে। ছিলেন পৌর মেয়রও। আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে পরিবারটি। বেড়া-সাঁথিয়ায় গড়ে তোলেন ত্রাসের রাজত্ব।
হামলা-মামলা দিয়ে প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর অভিযোগও আছে টুকু পরিবারের বিরুদ্ধে। বাদ যায়নি নিজ দলের কর্মীরাও। মতের অমিল হলেই মামলায় ফাঁসিয়ে পাঠিয়েছেন কারাগারে।
সরকার পতনের পর রাজধানীর পল্টন থানায় দায়েরকৃত মামলায় কারাগারে আছেন শামসুল হক টুকু। আত্মগোপনে তার ছেলে আসিফসহ পরিবারের অনেকেই। পাওয়া যায়নি স্থানীয় আওয়ামী লীগের সিনিয়র কোনো নেতাকেও।