চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) সাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় হাটহাজারী থানায় মামলা করা হয়েছে। এ মামলায় আসামি করা হয়েছে চবি ছাত্রলীগের ১১ নেতাকর্মীকে। এ মামলায় অজ্ঞাত আরও ১০/১৫ জনকে আসামি করা হয় বলে জানা গেছে।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) ভুক্তভোগী সাংবাদিক শাহরিয়াজ মোহাম্মদ বাদী হয়ে ওই মামলাটি দায়ের করেন।
সাংবাদিক শাহরিয়াজ চবি সাংবাদিক সমিতির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং দৈনিক পূর্বদেশ ও চট্টগ্রাম খবরের প্রতিনিধি। চবির বাংলা বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী।
আসামিরা হলেন- আইন বিভাগের শিক্ষার্থী খালেদ মাসুদ, বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী আকিব জাভেদ, অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী এম. ফয়সাল প্রকাশ ফয়সাল সরকার, সমাজতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী হাসান মাহমুদ, ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী সৌরভ ভূঁইয়া, আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ও ইয়াছিন আরফাত, সমাজতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী তানভির আলম তুষার, যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী মামুন মিয়া, ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী অনুপ সরকার আকাশ, যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ও মাহিন রুবেল ও অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী ইসহাক আলম ফরহাদসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০/১৫ জন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত ১৯ জুলাই রাত পৌনে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্টে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় মারধরের শিকার হন সাংবাদিক শাহরিয়াজ মোহাম্মদ। এ সময় হামলাকারীরা পেছন থেকে এসে প্রথমে মুখে ও মাথায় কাপড় পেঁচিয়ে দেয়। পরে তারা উপর্যুপরি মারধর করেন। এরপর ঘটনাস্থলে থাকা অন্যান্য সাংবাদিকেরা আহত অবস্থায় শাহরিয়াজকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে চিকিৎসা করান।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক শাহরিয়াজ মোহাম্মদ বলেন, দেশের বিরাজমান পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হল বন্ধ ঘোষণা করার পরও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হলে অবস্থান করছিলেন। এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে সংবাদ প্রকাশের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। সে কারণে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমার ওপর হামলা করেন। তারা পেছন দিক থেকে এসে মাথায় ও মুখে কাপড় পেঁচিয়ে আমাকে মারধর করেন। এ ঘটনায় আমি হাটহাজারী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছি। আমার সঙ্গে ঘটে যাওয়া এ ন্যাক্কারজনক ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো. নুরুল আলম বলেন, মামলাটি কোর্টে পাঠানো হয়েছে। নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করে মামলার তদন্ত হবে।