পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে নদীতে ঝাঁপ দেন আব্দুল হালিম নামের এক যুবক। কিন্তু বাঁচতে পারলেন না তিনি। রবিবার (১৪ জুলাই) বিকেলে লাশ হয়ে ফিরলেন। নিখোঁজের দুই দিন পর তার মরদেহ উদ্ধার করেছে মদন থানার পুলিশ।
তিনি নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার ডাউকি গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মদন ও কেন্দুয়া উপজেলার সীমানা তাম্বুলিপাড়া এলাকায় বর্নি নদীতে শুক্রবার বিকেলে জুয়ার আসরে অভিযান চালায় কেন্দুয়া থানার পুলিশ। এ সময় ৯ জুয়ারীকে আটক করা হয়। সাত থেকে আটজন পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে নদীতে ঝাঁপ দেন।
বাকিরা তীরে উঠতে পারলেও নিখোঁজ হন হালিম। রবিবার দুপুরে মদন উপজেলার নায়েকপুর ইউনিয়নের চন্দ্রতলা গ্রামের পিছনের নদীতে তার মরদেহ ভেসে উঠে।
মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) জাহাঙ্গীর আলম জানান, নৌকায় ভাসমান জুয়ার আসরে অভিযান চালায় কেন্দুয়া থানার পুলিশ। এ সময় হালিম নামের এক যুবক নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ হন।
রবিবার ভাসমান অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের ভাই মদন থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছেন। কোনো অভিযোগ না থাকায় হালিমের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।