বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) পরীক্ষাসহ গত ১২ বছরে ৩০টি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) তিন কর্মকর্তা ও সাবেক গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলীসহ ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে পিএসসির ২০২৩-আইনের ১১ ও ১৫ ধারায় মামলা হয়।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) প্রশ্নফাঁসকাণ্ডে আদালতে সাত আসামি স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। পরে সকলকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
এদিকে প্রশ্নফাঁসকাণ্ডে সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) উপপরিচালক মো. আবু জাফর ও জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী পরিচালক মো. আলমগীর কবির এবং পিএসসির কর্মচারী ডেসপাস রাইটার খলিলুর রহমান ও অফিস সহায়ক সাজেদুল ইসলামসহ পাঁচজনকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে পিএসসি। মঙ্গলবার (৯ জুলাই) আলাদা আলাদা নোটিশে ওই পাঁচজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
পিএসসির চেয়ারম্যান স্বাক্ষরিত বহিষ্কার আদেশের কপিতে দেখা গেছে, চাকরি আইন অনুসারে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। তারা বিধি অনুসারে খোরপোষ ভাতা পাবেন।
১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়া সাত আসামি হলেন- পিএসসির সাবেক গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলী, অফিস সহায়ক খলিলুর রহমান, অফিস সহায়ক (ডিসপাস) সাজেদুল ইসলাম, ব্যবসায়ী আবু সোলায়মান মো. সোহেল, ব্যবসায়ী সহোদর সাখাওয়াত হোসেন ও সায়েম হোসেন এবং বেকার যুবক লিটন সরকার।
কারাগারে পাঠানো ১০ আসামি হলেন- পিএসসির উপপরিচালক মো. আবু জাফর ও মো. জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী পরিচালক মো. আলমগীর কবির, নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের নিরাপত্তা প্রহরী শাহাদাত হোসেন, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিকেল টেকনিশিয়ান মো. নিয়ামুন হাসান, নোমান সিদ্দিকী, প্রিয়নাথ রায়, মো. জাহিদুল ইসলাম, মো. মামুনুর রশীদ এবং সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়াম।
এদিকে মঙ্গলবার (৯ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংক প্রশ্নফাঁসে অভিযুক্ত পিএসসির চেয়ারম্যানের সাবেক গাড়িচালক আবেদ আলীসহ ১৭ জনের ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে।
প্রসঙ্গত, বিসিএসের প্রশ্নফাঁস নিয়ে পিএসসির বিরুদ্ধে চ্যানেল 24 এ অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় সৈয়দ আবেদ আলীর পোস্টগুলো ভাইরাল হতে থাকে। এ ঘটনায় সোমবার (৮ জুলাই) রাতে পুলিশ বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন আইনে মামলা করে। মামলায় ১৭ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।