সাভারে বিয়ের প্রলোভনে এক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় এক মুদি দোকানিকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে সাভার সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কার্যালয় থেকে তাকে আটক করে সাভার মডেল থানা পুলিশ। তার নাম মো. ইকরাম হোসেন। সে সাভার সদর ইউনিয়নের কলমা গ্রামের মো. অজিউল্লাহর ছেলে। কলমা বাসস্ট্যান্ডে ইকরামের একটি মুদি দোকান রয়েছে।
ধর্ষণের স্বীকার ওই ছাত্রী সাভারের একটি কলেজের মানবিক বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী। সে সাভারের কলমা এলাকায় খালার বাসায় থেকে পড়াশোনা করে। গত কয়েক মাস ধরে কলেজে যাওয়ার পথে মুদি দোকানি ইকরাম ওই ছাত্রীকে বিভিন্নভাবে উত্ত্যক্ত করতো। একপর্যায়ে ওই কলেজছাত্রীর সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে উঠে। এই সুযোগে গত কয়েকদিন আগে ইকরাম হোসেন ওই কলেজছাত্রীকে বেড়ানোর কথা বলে তার কাকা সাদেক হোসেনের বাড়িতে নিয়ে যায়। এরপর ঘরের ভেতর নিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে ধর্ষণের ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার জন্য তাকে ভয়ভীতি দেখায় এবং জন্ম নিরোধক ট্যাবলেট খেতে বাধ্য করে।
এদিকে বিষয়টি জানাজানি হলে ধর্ষক ইকরামের চাচা সাদেক হোসেন, ৭নং ওয়ার্ড সদস্য আরিফ মেম্বার ও যুবলীগ নেতা মো. শহিদ মিয়ার নেতৃত্বে বিষয়টি মীমাংসার জন্য ইউপি চেয়ারম্যান কার্যালয়ে ঘরোয়া সালিশের আয়োজন করে। এঘটনা স্থানীয়রা সাভার থানায় জানালে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ছেলে ও মেয়েকে থানায় নিয়ে আসে।
যুবলীগ নেতা শহিদ বলেন, আমরা গণ্যমান্য লোকজন নিয়ে চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে বিষয়টি মীমাংসার উদ্যোগ নেই। কিন্তু মেয়ে রাজি না হওয়ায় এবং লোকজন জানাজানি হয়ে গেলে তাদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়। সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তরিকুল ইসলাম বলেন, ধর্ষণের ঘটনা মীমাংসা করা হচ্ছে খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল থেকে মেয়েকে উদ্ধার করি। এ সময় ধর্ষক মুদি দোকানি মো. ইকরামকেও আটক করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৫ ঘণ্টা, ০৪ নভেম্বর ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/কেএসপি