মহানবী হযরত মুহাম্মদকে (সা.) নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে পুলিশ কুষ্টিয়ার কুমারখালীর একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবু সালেহকে গ্রেফতার করেছে। তাকে আজ বুধবার ভোর ৪টার দিকে কয়া গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।
মো. আবু সালেহ উপজেলার কয়া চাইল্ড হিভেন গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষক। তিনি কয়া মালিথাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক আবু সালেহ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বোরকা ও হিজাব পরতে নিষেধ করতেন। এমন খবর পেয়ে গত সোমবার প্রধান শিক্ষকের কাছে বিষয়টি নিয়ে জানতে চান এক ছাত্রীর অভিভাবক এনামুল হক। তখন প্রধান শিক্ষক মহানবীকে (সা.) নিয়ে নানা কটূক্তি ও বিতর্কিত মন্তব্য করেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে কয়া ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসল্লি ও জনসাধারণ কয়া বাইতুল মামুন জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে মিলিত হন। সেখানে তারা প্রধান শিক্ষকের বিচার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। পরে দুপুর ১টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের আশ্বস্ত করে এবং দ্রুত গ্রেফতারের প্রতিশ্রুতি দেয়।
এ বিষয়ে এনামুল হক বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক নবীর (সা.) সুন্নাত ও চরিত্র নিয়ে নানা বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। একজন মুসলিম হিসেবে আমি তা মানতে পানিনি। তার নামে থানায় মামলা করেছি। আমি তার উপযুক্ত শাস্তির চাই।’
ওই এলাকার মাওলানা মো. তাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘মহানবীকে (সা.) নিয়ে কটূক্তি করার ধৃষ্টতা দেখিয়েছে ওই প্রধান শিক্ষক। তার বিচার দাবিতে আমরা প্রশাসনকে দুদিনের সময় দিয়েছি। তা না হলে আগামী শুক্রবার কঠোর আন্দোলন করা হবে।’
কয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আলী হোসেন বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষক ইসলাম ও নবী (সা.) বিরোধী মন্তব্য করে আসছিলেন। তার বক্তব্যে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা চরম ক্ষুব্ধ। আমরা তার শাস্তির দাবি জানাই।’
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহসীন হুসাইন বলেন, ‘বিক্ষোভকারীদের আশ্বস্ত করে ঘরে ফেরানো হয়েছে। ওই এলাকার এনামুল হক নামের এক ব্যক্তি প্রধান শিক্ষক আবু সালেহের নামে মামলা করেছেন। আজ বুধবার ভোরে নিজ বাড়ি থেকে আবু সালেহেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’