ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে মৌমিতা পরিবহণের বাসে সুমন রেজা নামে এক যাত্রীর ওপর অভিনব কৌশলে বমি করে তার কাছ থেকে দেড় লাখ টাকা লুটে নিয়েছে প্রতারক চক্র। বাসের চালক ও হেলপারের সহযোগিতায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে ভুক্তভোগী সুমন রেজার অভিযোগ। সুমন রেজা ফতুল্লার সস্তাপুর এলাকার নুর হোসেনের ছেলে।
গতকাল রোববার বিকালে ফতুল্লা খান সাহেব আলী স্টেডিয়ামের সামনে লিংক রোডে এ ঘটনা ঘটে মৌমিতা বাসে। এ ঘটনায় পুলিশ আজ সোমবার বিকালেও মামলা গ্রহণ করেনি এবং কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
ভুক্তভোগী সুমন রেজা জানান, তার মা অসুস্থ ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। হাসপাতালের বিল পরিশোধ করতে আত্মীয় স্বজনের কাছ থেকে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা নিয়ে গতকাল রোববার দুপুরে ঢাকার সাইন্সল্যাব হতে নারায়ণগঞ্জ আসতে মৌমিতা পরিবহণের বাসে উঠেন। বিকাল আড়াইটায় খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামের কাছে আসলে পাশে বসা অজ্ঞাতনামা একজন তার ওপর বমি করে দেয়। তখন বাসের হেলপার তাকে দাঁড়াতে বলেন। তিনি দাঁড়ানো মাত্রই তারা বমি পরিষ্কারের কথা বলে কৌশলে প্যান্টের পকেট থেকে টাকা নিয়ে দ্রুত বাস থেকে নেমে যায়।
বিষয়টি বাসের চালক ও হেলপারকে জানানোর পরও তারা বাসটি কিছুদূরে থামিয়ে তাকে নামিয়ে দিয়ে দ্রুত চলে যায়। এ ঘটনায় রাতে ফতুল্লা মডেল থানায় অভিযোগ করেন সুমন।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ রিজাউল হক বলেন, গাড়িটি শনাক্ত করা হয়েছে। চালক ও হেলপার পালিয়েছে। গাড়ির মালিককে সময় দেওয়া হয়েছে চালক ও হেলপারকে থানায় হাজির করার জন্য। এ ঘটনায় মামলা হবে।
এর আগে ৭ অক্টোবর খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামের কাছে মৌমিতা বাসে রনি নামে আরেক যাত্রীর উপর একইভাবে বমি করে কৌশলে তার কাছ থেকে এক লাখ টাকা লুট করে প্রতারকরা। এ ঘটনায় পুলিশ মৌমিতা বাসের চালক ইমরান (২৯) ও হেলপার রতন মোল্লাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
বাস যাত্রীরা জানান, প্রতিদিনই মৌমিতা পরিবহণে এভাবে যাত্রীদের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে। যাদের কাছ থেকে ৫০ হাজারের নিচে টাকা লুটে নেয় তারা অনেকেই থানায় অভিযোগ করেন না।