যৌতুকের টাকা না পেয়ে স্বামী যৌন উত্তেজক বড়ি খেয়ে নববধূর (১৯) সঙ্গে বিকৃত সঙ্গম করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। স্বামী মুক্তার হোসেন পায়ুপথে উপর্যোপরি সঙ্গম করেন। সে সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ায় নববধূ চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার স্বামী মুক্তার হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এর আগে গত রোববার গভীর রাতে নাটোরের গুরুদাসপুর পৌর সদরের ২ নম্বর ওয়ার্ডের পার-গুরুদাসপুর মহল্লায় ঘটনাটি ঘটে। পরে ওই নববধূর পিতা মো. রাশিদুল ইসলাম বাদী হয়ে মুক্তার হোসেনকে আসামি করে গুরুদাসপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
গতকাল বুধবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক আরিফা আফরোজ বানু জানান, ওই নববধূ বিকৃত যৌনাচারের আলামত নিয়ে চিকিৎসা কেন্দ্রে আসেন। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যৌন অনাচারের বর্ণনা রোগীর মুখে শুনেছি এবং কিছু আলামতও পাওয়া গেছে। তিনি এখনো হাসাপাতালে ভর্তি আছেন।
মামলার সূত্রে জানা যায়, সাত মাস আগে পারিবারিকভাবে মুক্তার হোসেনের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই মুক্তার কারণে অকারণে তার ওপর নির্যাতন চালিয়ে আসছিলেন। একপর্যায়ে গত রোববার গভীর রাতে মুক্তার যৌন উত্তেজক বড়ি খেয়ে স্ত্রীর যৌনাঙ্গে ও পায়ুপথে উপর্যোপরি নির্যাতন করায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়।
নির্যাতিত নববধূ জানান, বিয়ের পর থেকেই নিয়মিত যৌন উত্তেজক বড়ি খেয়ে তাকে বিকৃত যৌন নির্যাতন করতেন মুক্তার। নিষেধ করলে তিনি শারীরিক নির্যাতন করতেন। এ সময় স্বামীর শাস্তির দাবি করেন ওই নববধূ।
এসব অভিযোগ অস্বীকার করে স্বামী মুক্তার হোসেন জানান, তার স্ত্রী গর্ভবতী। বেশ কদিন বিরতির পর তার সঙ্গে শারীরিক মিলনের কারণে রক্তক্ষরণ হয়েছে।
এ বিষয়ে গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মতিন জানান, মামলার পরিপ্রেক্ষিতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।