টেকনাফের ইয়াবা কারবারিদের বদির হুঁশিয়ারি

কক্সবাজার-৪ আসনের সাবেক সাংসদ আবদুর রহমান বদি টেকনাফের ইয়াবা কারবারিদের এলাকা ছাড়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। যদিও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের করা ইয়াবা তালিকায় তার নাম রয়েছে ‘ইয়াবার মদদদাতা’ হিসেবে।

বদির ছোট পাঁচ ভাইসহ পরিবারের ঘনিষ্ঠ ২৬ জনের নাম আছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকায়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে তাদের মধ্যে অন্তত আটজন ইয়াবাসহ আত্মসমর্পণ করে দেড় বছর কারাগারে থেকে সম্প্রতি জামিনে ছাড়া পেয়ে এলাকায় অবস্থান করছেন।

গত মঙ্গলবার রাতে টেকনাফ পৌরসভার ২, ৬ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে পৌরসভার বর্তমান মেয়র ও আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী মোহাম্মদ ইসলামের সমর্থনে পৃথক তিনটি সমাবেশ হয়। মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম সম্পর্কে বদির চাচা। সমাবেশগুলোতে সাবেক সাংসদ বদি ইয়াবা কারবারিদের এলাকা ছাড়ার হুমকি দিয়ে বলেন, ‘পৌর নির্বাচনের আগে যদি ইয়াবা কারবারিদের কাউকে রাস্তাঘাটে সামনে পাই, খবর আছে। নৌকার বিপক্ষের কাউকে মাঠে পাওয়া গেলে তখন করার কিছুই থাকবে না।’ এ বিষয়ে উপস্থিত অভিভাবকদেরও সতর্ক করেন বদি। সমাবেশ থেকে বদির এই বক্তব্য ফেসবুক লাইভ করা হয়।

সাবেক এই সাংসদ আরও বলেন, ‘যারা ইয়াবা ব্যবসা করছ, সুন্দর সুন্দর মোটরসাইকেল নিয়ে রং–তামাশা করছ, ঘরে বউ-ছেলে নিয়ে আরামে ঘুমাচ্ছ, তোমরা মেহেরবানি করে ভোটের পরে এলাকায় এসো। ভোটের আগে যদি তোমাদের রাস্তাঘাটে পাওয়া যায়, যদি ভোটের সময় পৌরসভার ভেতরে রাস্তাঘাটে নৌকার বিরুদ্ধে কাউকে পাওয়া যায়, আমাকে দোষারূপ করা যাবে না। তোমরা আর কেউই শান্তিতে থাকতে পারবা না।’

এদিকে, টেকনাফে আগের তুলনায় ইবার চালান শতগুণ বেড়ে গেছে জানিয়ে টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল বশর বলেন, সাবেক সাংসদ যেখানে দাঁড়িয়ে ইয়াবাবিরোধী কিংবা ইয়াবা কারবারিদের এলাকা ছাড়তে বললেন, তার (বদি) আশপাশে থাকা লোকজনই তো সেই কারবারে জড়িত। নির্বাচন নিয়ে ভোটারদের বিভ্রান্ত করতেই বদির এই ঘোষণা বলে দাবি করেন আওয়ামী লীগের এই নেতা।

নুরুল বশর আরও বলেন, ‘মেয়র পদে আমরা চারজন মনোনয়ন চেয়েছিলাম। দল নৌকা প্রতীক তুলে দিয়েছে বদির চাচা মোহাম্মদ ইসলামকে। আমরাও নৌকার পক্ষে আছি। নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিচ্ছি। দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে কাজ করার সুযোগ কারও নেই।’

Scroll to Top