নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার চাকরি ছেড়ে জাল টাকা বানান ঘরে বসে

রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের গুলশান বিভাগ জাল টাকার মিনি কারখানা আবিষ্কার করেছে। এ ঘটনায় একজন নারীসহ তিন পুরুষকে আটক করা হয়। এদের মধ্যে কেউ কেউ বৈধ চাকরি ছেড়ে বেশি টাকা আয়ের লোভে জাল টাকা তৈরি করেন।

আটকৃতরা হলেন- জীবন, পিয়াস, ইমাম হোসেন ও ভীদে। আর ওই আটকৃত নারীর নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

গতকাল রোববার (২ মে) কামরাঙ্গীরচরে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এ সময়ে তাদের কাছ থেকে জব্দ করা হয় ৪৬ লাখ জাল টাকা ও জাল টাকা তৈরির সামগ্রী।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মশিউর রহমান সাংবাদিকদেরকে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, \”ডিবির একটি টিম মোহাম্মদপুরের কামরাঙ্গীরচরের নোয়াগাঁও এলাকা অভিযান চালিয়ে জাল টাকার একটা মিনি কারখানা আবিষ্কার করে। এ সময় একজন নারীসহ তিন পুরুষকে আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে থেকে জব্দ করা হয় ৪৬ লাখ জাল টাকা ও জাল টাকা তৈরির সামগ্রী।\”

উদ্ধারকৃত সামগ্রীগুলো হলো – দুইটি ল্যাপটপ, দুইটি প্রিন্টার, হিট মেশিন, বিভিন্ন ধরনের স্ক্রিন, ডাইস, জাল টাকার নিরাপত্তা সূতা, বিভিন্ন ধরনের কালি, আঠা ও স্কেল কাটারসহ আরও অন্যান্য সামগ্রী।

ডিসি মশিউর রহমান বলেন, আটক আসামিদের মধ্যে পিয়াস ও ইমাম হোসেন বরিশাল পলিটেকনিকেল থেকে নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ারিং ও কম্পিউটার সাইন্স বিষয়ে ডিপ্লোমা করেন। তারা গ্রামীণফোন নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করতেন। আর ভীদে বরিশাল সরকারি পলিটেকনিকেল কলেজ থেকে পাওয়ারের উপরে ডিপ্লোমা শেষ করে। বেশি টাকা আয়ের লোভে সেও বৈধ চাকরি ছেড়ে জাল টাকা তৈরির অবৈধ কাজে যোগদান করে। এই দুই ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারের তৈরি জাল টাকার কোয়ালিটি যথেষ্ট উন্নত।

আটক জীবন এর আগেও জাল টাকা তৈরির সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে একাধিকবার জেল খেটেছেন।

আটকদের বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দেয়ার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান গোয়েন্দা পুলিশের এই কর্মকর্তা।

ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে তাদের জাল টাকা তৈরির বড় ধরনের পরিকল্পনা ছিল। প্রথমদিকে তারা সাভারের জ্ঞানদা এলাকায় জাল টাকা তৈরি করলেও গত তিন মাস ধরে কামরাঙ্গীরচরে জাল টাকা তৈরি শুরু করেন।

Scroll to Top