নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। মামলায় সাদেক (৩৫), ভুলু (৩৩), আলী (৩৪) সহ আরও অজ্ঞাতনামা ৪ জনকে অভিযুক্ত করেন ওই নারী। ঘটনার ১২ দিন পর গত শুক্রবার ৩৩ বছর বয়সী ওই নারী মামলা দায়ের করেন।
সেই মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ধর্ষণের শিকার ওই নারী ও তার স্বামী ফতুল্লার অক্টোঅফিস এলাকায় চায়ের দোকান দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিল। গত ১৬ মার্চ রাত ১১টায় ওই নারী তার চায়ের দোকানে ছিল। বাসায় রাতে খাবারের জন্য কোনো কিছু না থাকায় সে তার চায়ের দোকানটি বন্ধ করে পার্শ্ববর্তী একটি হোটেলে গিয়ে তার স্বামীর জন্য বিরিয়ানি কিনে বাসার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। ওই সময় অক্টোঅফিস এলাকায় সাদেকের মোটরবাইকের দোকানের সামনে এলে সাদেক ও তার সহযোগীরা ওই নারীর মুখ চেপে ধরে দোকানের ভিতর নিয়ে যায়। পরে দোকানের সার্টার বন্ধ করে দেয়। একপর্যায়ে ভুলু, আলী ও অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের সহযোগিতায় সাদেক ওই নারীকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের ভিডিও মোবাইল ফোনে ধারণ করেন তারা। পরে ওই নারীকে সাদেক বলে ‘তোকে ধর্ষণ করেছি সেই ভিডিও আমার কাছে, যদি কাউকে বলিস তাহলে ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দিবো। সামনেই তোর মেয়ের বিয়ে সব শেষ হয়ে যাবে।’ এ ঘটনার ১২ দিন পর ওই নারী তার মেয়েকে বিয়ে দিয়ে শুক্রবার মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) গতকাল শনিবার রাতে জানান, আসামিদের ধরতে বিভিন্ন স্থানে গোয়েন্দা অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।