শটগানের গুলিতে আবদুর রশিদ (৩৫) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে ঘটনাটি ঘটেছে রাজধানীর দক্ষিণখানের আইনুসবাগে। পুলিশ এ ঘটনায় আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা হিসেবে পরিচিত আবদুল হান্নান ওরফে জাপানি হান্নানসহ সাতজনকে আটক করেছে। এ ঘটনাটি ঘটে গতকাল বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আবদুর রশিদের বাসার সামনে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের মাধ্যমে জানা যায়, আবদুর রশিদ ওই এলাকার আবদুল মালেকের ছেলে। রড-সিমেন্টের ব্যবসা করতেন তিনি। এ ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ জনগণ হান্নানের বাসার সামনে রাখা তার ব্যক্তিগত গাড়ি পুড়িয়ে দেয়।
হান্নান বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলে জানা গেছে। তিনি জাপান–বাংলাদেশ মানবাধিকার সংস্থার মহাসচিব। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আনিসুল হকের মৃত্যুর পর অন্তর্বর্তীকালীন নির্বাচনের সময় তিনি ৪৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করেছিলেন।
পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপকমিশনার মো. শহিদুল্লাহ জানান, দীর্ঘদিন ধরে আবদুল হান্নানের সঙ্গে আবদুর রশিদের বিরোধ চলছিল। এর জের ধরেই বুধবার আবদুর রশিদের বাসার সামনে হান্নানের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়।
হান্নান তখন বাসা থেকে শটগান এনে রশিদকে একাধিক গুলি করেন। পরে আশপাশের বাসিন্দারা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় কেসি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. শহীদুল্লাহ জানান, এ ঘটনায় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দুটি অস্ত্রসহ সাতজনকে আটক করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, দক্ষিণখান থানাধীন আশকোনায় ময়লার ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র করে গতকাল বুধবার দুপুরে আওয়ামী লীগ নেতা জাপানি হান্নান ও সোহেল রেজা গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।