ময়মনসিংহে স্বামীর কাছে ফেরার সহযোগিতা চেয়ে গণধর্ষণের শিকার গৃহবধূ

তালাক দেয়া স্বামীর কাছে ফিরে যেতে সহায়তা চেয়ে একাধিক ব্যক্তির কাছে গিয়ে গণধর্ষণের স্বীকার হয়েছেন ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার এক নারী। এ ঘটনায় খলিলুর রহমান নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত সকালে মুক্তাগাছা থানায় ৩ জনের নাম উল্লেখ করে ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন ওই ভুক্তভোগী নারী। মামলার পর খলিলুর রহমানকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত খলিলুর রহমান উপজেলার পাহাড় পাবইজান গ্রামের বাসিন্দা। তিনি পল্লী চিকিৎসক বলে জানা গেছে।

জানা যায়, স্বামীর সাথে পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণে দু’বছর আগে ভুক্তভোগী নারীর বিচ্ছেদ হয়। তার ৭ বছরের সন্তান বাবার কাছে থাকায় প্রায়ই স্বামীর বাড়িতে যেতেন। এরই মাঝে ওই নারীর পরিচয় হয় সাইফুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির সাথে। ওই নারী স্বামীর কাছে ফিরে যেতে সাইফুলের কাছে সহায়তা চায়। কিন্তু সাইফুল তাকে বিয়ে করবে বলে একাধিকবার ধর্ষণ করে। পরে সাইফুল বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়। এ ঘটনার বিচার চাইতে ওই নারী হাজির হন মুক্তাগাছার শহরের হৃদয় মোড়ের এক মানবাধিকার কর্মীর কাছে।

আর সেখানে গিয়ে পরিচয় হয় খলিলুর রহমান নামে এক পল্লী চিকিৎসকের সাথে। পরে খলিল তাকে সহায়তায় আশ্বাস দিয়ে ওই নারীকে গত সোমবার রাতে বিরুলিয়া গ্রামের কাদেরের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে কাদের, খলিলুর ও তাদের আরও ৫ সহযোগী মিলে গ্রামের ফসলি মাঠের একটি আমগাছের নিচে ওই নারীকে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে চলে যায়।

এ প্রসঙ্গে মুক্তাগাছা থানার ওসি বলেন, এ ঘটনায় মামলার পর একজনকে গ্রেফতার করে আদালতের নির্দেশে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। সাইফুলসহ অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের অভিযান চলছে।

Scroll to Top