যশোরে পুলিশের তাড়া খেয়ে পানিতে ঝাঁপ দিয়ে অচেতন হয়ে যাওয়ায় মনিরুল ইসলাম নামে এক যুবককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে সেই যুবকের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকায় রেফার করা হয়েছে।
গত রবিবার বিকেল ৫টা দিকে যশোর শহরের কালেক্টরেট পুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মনিরুল ইসলাম যশোর শহরতলীর শেখ আবু জেহেরের ছেলে।
এ প্রসঙ্গে মনিরুলের চাচাত ভাই বলেন, মনিরুলের শহরের আরএন রোড এলাকায় মোটর পার্টসের দোকান আছে। প্রায় ৬মাস আগে পুলিশ তার নামে একটি মাদক মামলা দেয়। ওই মামলায় আজ ২৮ ফেব্রুয়ারি আদালতে হাজিরার দিন ছিল। আদালতে হাজিরা শেষে বাড়ি ফেরার পথে কালেক্টরেট এলাকায় মনিরুলকে ধরতে ধাওয়া দেয় এএসআই আল ইমরান। এসময় মনিরুল গ্রেফতার আতঙ্কে পুকুরে ঝাঁপ দেয়। স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ তাকে পুকুর থেকে তুলে আনে। এ সময় তিনি অচেতন ছিলেন। এরপর পুলিশ তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক বলেন, অচেতন অবস্থায় মনিরুল ইসলাম নামে একজন রোগীকে ভর্তি করে মেডিসিন ওয়ার্ডে পাঠানো হয়েছে। জ্ঞান না ফেরা পর্যন্ত তার অবস্থা সম্পর্কে কিছু বলা সম্ভব হচ্ছে না।
এছাড়া মেডিসিনের ডাক্তার বলেন, পরীক্ষা করে দেখা গেছে রোগী স্ট্রোক করেছেন। যে কারণে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করা হয়েছে।
এদিকে কোতোয়ালী থানার ওসি তাজুল ইসলাম বলেন, মনিরুল ইসলাম মাদক মামলার আসামি। আদালত থেকে ফেরার পথে একজন পুলিশ সদস্য দেখে বিনা কারণে আতঙ্কিত হয়ে পুকুরে ঝাঁপ দেন। ওই পুলিশ সদস্য তাকে চেনে না এবং ধরতেও যাননি। পরে তাকে ডেকে ওপরে আসতে বলায় মনিরুল নিজেই পানি থেকে ওপরে উঠে আসে। হার্টের রোগী কারণে আতঙ্কে অসুস্থ হয়ে পড়ে।