ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পাকা গ্রামে সালিশ বৈঠকে মারধর করার দুই দিন পর ইমরান হোসেন নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। নিহত ইমরান ছিলেন ওই গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে।
এ খবরের সত্যতা স্বীকার করেন ঘোড়াশাল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পারভেজ মাসুদ লিটন। তিনি জানান, গত শনিবার পাকা গ্রামের এক শিশু অপহরণ কে কেন্দ্র করে ওই গ্রামে সালিশ বৈঠক বসে। ওই বৈঠকে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার এক পর্যায়ে ইমরানের মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়। লাঠির আঘাতে ইমরান গুরুতর আহত হয়। এতে তাকে প্রথমে ঝিনাইদহ ও পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়। দুইদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে তার মৃত্যু ঘটে। এ ঘটনায় আগেই ৩ জনকে আসামি করে ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি মামলা করা হয়।
গ্রামবাসীদের থেকে জানা যায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঘোড়শাল ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের সিদ্দিক ও চেয়ারম্যান গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এই বিরোধের জের ধরে ইমরানকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে, ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানিয়েছেন, আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু হয়েছে।