মডেল ও অভিনেত্রী নায়লা নাঈমের খ্যাতি আছে পশুপ্রেমী হিসেবে। রাস্তার কুকুরদের খাবার বিতরণ ও আহত প্রাণীর চিকিৎসা দিয়ে বহুবার আলোচনায় এসেছেন নায়লা নাঈম। আর এ কারণেই রীতিমতো নায়লা নাঈম হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
এই হয়রানির মাত্রা বিগত কয়েক মাস যাবত এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে, নায়লা নাঈম মানসিকভাবেও ভেঙে পড়েছেন। আর তাই এর বিরুদ্ধে আজ শনিবার সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন এই শিল্পী।
নায়লা নাঈমের অভিযোগ, তার বাসায় পাঁচশ’ বিড়াল আছে বলে বেশ কিছুদিন ধরে তার বসবাসরত এলাকার সভাপতিসহ বেশ কয়েকজন তাকে অপবাদ দিয়ে আসছে। আর এ জন্য প্রায় প্রতি সপ্তাহে তাকে পুলিশি হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে।
নায়লা নাঈম বলেন, \”গত কয়েক মাস যাবত আমি মানসিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছি। আমাদের সোসাইটির সহসভাপতি সহ বেশ কয়েকজন থানায় অভিযোগ করেন, আমার বাসায় পাঁচশ’ বিড়াল আছে। যা নাকি তাদের জন্য হুমকিস্বরূপ। এ জন্য প্রায় প্রতিদিন বাড্ডা থানা থেকে আমার নম্বরে ফোন দেয়। এমনকি পুলিশের এসিস্ট্যান্ট কমিশনারকে দিয়েও বেশ কয়েকবার ফোন দেয়া হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে নানা ব্যবস্থার কথা বলা হয়। এই মাত্রা দিনকে দিন বাড়ছেই। আবার নানাভাবে আমাকে বলা হয়, আমি বিড়াল বেচাকেনার অবৈধ ব্যবসা করি। মূলত আমাকে বাড়ি ছাড়া করতেই এ ধরনের অভিযোগ করা হচ্ছে।\”
নায়লা আরও বলেন, \”কিছুদিন আগে আমাদের বিল্ডিংয়ে কিছু অংশে আইন বহির্ভূতভাবে নকশা করতে আসে। আমি তাতে বাধা দিয়েছিলাম। এরপর থেকে আমাদের সোসাইটির সহসভাপতি শহীদ সাহেব, ল্যান্ড ওনার হান্নান সাহেব আমার বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লেগেছে। পুলিশসহ নানাভাবে আমাকে ভয়ভীতি দেখাতে থাকে। তারা দলবল নিয়ে যখন তখন আমার বাসায় আসতে চায়। এমনকি পার্কিংয়েও আমি আমার মোটরবাইকও চার্জ দিতে পারি না। বিষয়গুলো দীর্ঘদিন ধরে আমাকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। অসুস্থ বিড়াল-কুকুরকে সেবা দেওয়া তো খারাপ কাজ হতে পারে না। আমার বাসায় পশুপাখি থাকবে না মানুষ থাকবে- সেটা তো আমার বিষয়। তারপরও আমি দুই মাস সময় নিয়ে বলেছিলাম, কিছু বিড়াল দরকার হয় স্থানান্তর করব। কিন্তু তারা সে সুযোগও দেয়নি। সিটি করপোরেশন, বাড্ডা থানা, পুলিশের আইজি অফিসসহ বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ করেছেন। আমি সবসময় এগুলো কম্প্রোমাইজ করেছি। তারা তা দুর্বলতা ভেবেছেন। এগুলো নিয়েই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছি।\”
মডেলিংয়ে আলোচিত হলেও নায়লা নাঈম একজন দন্ত চিকিৎসক। তিনি পশু-পাখিদের বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গেও কাজ করে আসছেন।