বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে খোলা বাজারে ১০ টাকা কেজি দরে বিক্রির চাল নিজের গুদামে রাখায় আওয়ামী লীগ নেতা গাজিউল হক গাজীকে এক মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গাজিউল হক গাজী সারিয়াকান্দি উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রাসেল মিয়া ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ওই আওয়ামী লীগ নেতাকে কারাদণ্ড দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত হলেন উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান।
জানা গেছে, গতকাল দুপুরের দিকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির এসব চাল কাগজে–কলমে হৃতদরিদ্রদের মাঝে বিতরণ দেখিয়ে কালোবাজারে বিক্রি করে দেন গাজিউল। তিনি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ওই ইউনিয়নের ডিলারও। এই অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় এবং তিনি নিজের মুখে কালোবাজারি করার কথা স্বীকার করায় ভ্রাম্যমাণ আদালত তাঁকে দণ্ড দেন। আদালত পরিচালনা করেন সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাসেল মিয়া। গাজিউলকে এক মাসের দণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। বাতিল করা হয় তাঁর ডিলারশিপ।
সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে ১০ টাকা কেজি দরে কার্ডধারী দরিদ্র মানুষের মাঝে এই চাল বিতরণ করার কথা। কিন্তু কাউকে না জানিয়ে গতকাল কাগজে–কলমে বিতরণ দেখিয়ে ২৮৮ বস্তা চাল বিক্রি করে দেন তিনি। অবশিষ্ট ২১২ বস্তা চালও গুদাম থেকে সরিয়ে ফেলার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। কিন্তু এ ব্যাপারে বগুড়ার জেলা প্রশাসকের কাছে কেউ একজন অভিযোগ করেন।
সারিয়াকান্দি উপজেলার চন্দনবাইশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক দুরুর হুদা জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালতের আদেশের পর গাজিউল হক গাজীকে বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।