ফটিকছড়িতে পল্লীবিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে বানিজ্যের অভিযোগ ,তদন্তে ৫টি গ্রাম !

চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ বর্তমান সরকারের প্রতিটি পরিবারের বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সেবার আওতায় এখানেও চলছে বিদ্যুৎ সংযোগ সেবার  কার্যক্রম। যা পরিচালনা হয়  ফটিকছড়ি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ২ এর জোনাল কার্যালয়ের  আওতায়।  সরকারের এ সেবার মানকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে বিদ্যুৎ অফিসের ঘুটি কয়েক কর্মচারী  সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায়  রেখে বানিজ্য করে যাওয়া এক শ্রেণীর দালালরা।
প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী  প্রতিটি পরিবারে বিনা মূল্যে  বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদানের লক্ষ্যে পল্লী বিদ্যুৎ সার্ভেয়ার টিম এলাকা ভিত্তিক মাষ্টার প্লেন তৈরী করে। পরবর্তীতে দরপত্রের আহব্বান করে। দরপত্রে যে ঠিকাদার কাজ পায়; তার নিকট থেকে বা যে কোন উপায়ে এক শ্রেনীর দালাল মাষ্টার প্লেনের কাজের তালিকা বের করে। তালিকা মতে এলাকা পরিদর্শন করে যে বাড়ী বা বসত ঘর অনুমোদন হয়েছে, তা দেখে দ্রুত বিদ্যুৎ দিবে বলে গ্রাহক হতে ৫ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা তুলে নেয় । সরাসরি টাকা আদায় করতে সমস্যা হলে এলাকা থেকেও কয়েকজন দালাল অথবা স্থানীয় সাবেক বা বর্তমান  ওয়ার্ড সদস্যকে হাত করে নেয়। দালালদের এসব কাজ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অগোচরে হয়ে থাকে। পরে বিনা খরচে সরকারী ভাবে গ্রাহক বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়ার পর যখন জানতে পারে তারা প্রতারিত হয়েছে, তখন গ্রাহকদের আর কিছু করার থাকেনা!
এদিকে মাষ্টার প্লেনের আওতায় গ্রাহককে নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ দেবার সময় ১ পয়েন্ট ওয়ারিং করতে হয় পল্লী বিদ্যুতের ইলেকট্রেশিয়ান দিয়ে। অর্থাৎ লোহার রড,মিটার বোর্ড,মেইন সুইচ সহ বোর্ড,তার লাগানোর জন্য সর্বনিম্ন ১ হাজার টাকা । আর মিটার ৪ শত টাকা ও সদস্য ফি বাবৎ ৫০ টাকা খরচ হয়। আবার যাদের মাষ্টার প্লেনে নাম নেই তাদের অনলআইনে আবেদন করতে হলে আরো ২ শত টাকা অতিরিক্ত লাগে।
এতে মিটার সহ এক জন গ্রাহক বিদ্যুৎ পেতে খরচ হয় ১ হাজার ৪ শত ৫০ টাকা বা  ১হাজার ৬ শত ৫০ টাকা। অথচ  মিটার সংযোগ প্রদানের জন্য দালালরা গ্রাহক হতে বিভিন্ন স্থানে ৪ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা   অভিযোগ করে আসছে।
এসব কারনে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। এ ব্যপারে ফটিকছড়ি  পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডি.জি.এম মো. আবুল কালাম জানান, দাঁতমারার পূর্ব সোনাইসহ যে ৫টি গ্রামের বিরুদ্ধে যে আর্থিক লেনদেনের  অভিযোগ পাওয়া গেছে, তা নিয়ে ডিজিএম ‘সরওয়ার জাহান’ কে নিয়ে  দুই সদস্যের  উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন তদন্ত কমিটি পাঠানো হয়েছে,তদন্ত প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। কেউ জড়িত থাকলে কিংবা কোন অর্থ দিয়ে থাকলে গ্রাহকদের চুপ করে বসে না থেকে, তাদের নাম প্রকাশ করে সরাসরি অভিযোগ  করার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি থেকে কিভাবে ওয়ারিং খরচ  দিতে হবে তার একটি চুক্তিপত্র রয়েছে ।উক্ত ফর্ম বা চুক্তিপত্র আগে পূরণ না করে কাউকে টাকা না দিবার পরামর্শ দেন তিনি।