মোটা অঙ্কের জরিমানা গুনতে হবে বিসিবিকে

সংস্কারের পর পুরোপুরি প্রস্তুত হওয়ার আগেই মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে গড়ায় বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া টেস্ট। ম্যাচ শুরুর আগে দেখা যায় মাঠের ঘাসগুলোর মাঝে প্রচুর ফাঁক।

আন্তর্জাতিক ভেন্যুর এমন দশা কেন হল, তার জবাব চেয়ে বিসিবিকে চিঠি দেয় আইসিসি। নির্ধারিত ১৪ দিন পার হওয়ার আগেই কারণ ব্যাখ্যা করে আইসিসিতে চিঠি পাঠিয়েছে বিসিবি।

বিসিবি যে কারণ দেখিয়েছে সেটিতে আইসিসি সন্তুষ্ট না হতে হলে মোটা অঙ্কের জরিমানা গুনতে হবে বিসিবিকে। সঙ্গে আইসিসির তরফ থেকে তিরস্কার তো থাকবেই। চিঠিতে কী উল্লেখ করা হয়েছে, সেটি গোপন রেখে বুধবার বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজামউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘আইসিসি শের-ই-বাংলার আউটফিল্ডকে বাজে বলে আখ্যায়িত করেছে। আমরা এ বিষয়ে আইসিসিকে একটা রিপোর্ট জমা দিয়েছি। আপনারা জানেন যে, গত চার-পাঁচ মাসে বাংলাদেশে যে বন্যা পরিস্থিতি ও বৃষ্টি, তাতে সময় মতো মাঠটা প্রস্তুত করা একটা চ্যালেঞ্জিং কাজ ছিলো। তারপরও আমরা চেষ্টা করেছি। আমরা মনে করি, আমাদের গ্রাউন্ডস কমিটি খুব কষ্ট করে কাজ করেছে।’

আইসিসিতে পাঠানো রিপোর্টে বন্যা পরিস্থিতি ও বৃষ্টির কারণ উল্লেখ করা হয়েছে কিনা; এমন প্রশ্ন করা হলে বিসিবির এই কর্মকর্তা বলেন, ‘এটা আমরা গোপন রাখতে চাইছি।’

মিরপুর টেস্ট শুরুর একদিন আগেও মাঠের বেশ কয়েকটি জায়গা উঁচু-নিচু, তা খালি চোখেই বোঝা গেছে।

বিসিবির একটি সূত্রে জানা গেছে, পুরোপুরি তৈরি হওয়ার আগেই ম্যাচ খেলিয়ে দেওয়াতে আউটফিল্ডের এমন অবস্থা দেখা গেছে। আউটফিল্ডের পুরনো মাটি ৬ থেকে ৮ ইঞ্চি মতো তুলে নতুন মাটি ফেলা হয়। লাগানো হয় নতুন ঘাস। কিন্তু প্রথম টেস্টের আগে মাঠের সবুজ চেহারা ফেরানো যায়নি।

২০০৬ সালে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার পর থেকে সবসময় প্রশংসিত হয়ে এসেছে মিরপুর স্টেডিয়াম। কিন্তু সেই ভাবমূর্তি রক্ষা করা গেল না সদ্য শেষ হওয়া সিরিজে। ফলে প্রশ্ন উঠেছে বিসিবির কিউরেটর থেকে শুরু করে পুরো গ্রাউন্ডস কমিটির অদূরদর্শিতা নিয়ে। নিজামউদ্দিন চৌধুরী অবশ্য কাউকে দোষারোপ করতে চান না।

‘স্বীকৃতি পাওয়ার পর শের-ই-বাংলা নিয়ে কোনো অভিযোগ কখনও পাইনি। এই মাঠে আইসিসির কয়েকটি বড় আয়োজন হয়েছে। ২০১৪ সালে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল এখানে হয়েছে। পরপর তিনটি এশিয়া কাপ আমরা এখানেই আয়োজন করেছি। মাঠের যে প্রস্তুতিতে কোনো ঘাটতি ছিলো না। বৈরি আবহাওয়ার কারণে এটা হয়েছে। আইসিসি কিন্তু শুধুমাত্র ঘাসের কারণে অভিযোগ করেছে। অন্যান্য দিক ঠিক আছে। এখন সময়ের সাথে সাথে এটা ভালো হয়ে যাবে। আমাদের প্রস্তুতির ঘাটতি ছিলো, তা বলবো না।’

বাংলাদেশ সময় : ১৭৩৪ ঘণ্টা, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৭,
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এ

Scroll to Top