বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) গঠনতন্ত্র-সংক্রান্ত এক মামলায় গত ২৬ জুলাই দেওয়া আপিল বিভাগের রায় নিজেদের পক্ষে দাবি করে ২ অক্টোবর বার্ষিক সাধারণ সভা ও বিশেষ সাধারণ সভার তারিখ ঘোষণা করেছে ক্রিকেট বোর্ডের বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ। কিন্তু মামলার বাদী স্থপতি মোবাশ্বের হোসেনের দাবি, রায় অনুযায়ী বিসিবির বর্তমান পরিচালনা পরিষদের কোনো বৈধতা নেই।
সে জন্য সাধারণ সভা ও বিশেষ সভাসহ বোর্ডের সব কার্যক্রম বন্ধের জন্য বিসিবি, বিসিবি সভাপতিসহ সাত ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের বরাবর আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন তিনি।
বিসিবি ও বিসিবি সভাপতি ছাড়া আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ও এর সচিব, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ, ক্রীড়া পরিষদের চেয়ারম্যান এবং এর সচিব বরাবর। গত পরশু পাঠানো আইনি নোটিশে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বিসিবিকে বার্ষিক ও বিশেষ সভা আয়োজনের যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ করতে বলা হয়েছে।
একই সঙ্গে বর্তমান বোর্ড সভাপতি এবং পরিচালনা পর্ষদকে তাদের দায়িত্ব পালন থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। আইনি নোটিশ পাওয়ার পর কী ব্যবস্থা নেওয়া হলো, সেটি আগামী তিন দিনের মধ্যে না জানালে বাদী আইনি ব্যবস্থা নেবেন।
মোবাশ্বের হোসেনের আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক মুঠোফোনে বলেছেন, ‘হাইকোর্টের রায়ে ২০১২ সালে সংশোধিত গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নির্বাচিত বিসিবির বর্তমান কমিটির কোনো বৈধতা নেই। এটা অবৈধ হয়ে গেছে। সে জন্য আমরা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে বলেছি বিসিবি যেন এজিএম, ইজিএমসহ কোনো কার্যক্রম পরিচালনা করতে না পারে, সে ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে। নয়তো রিট পিটিশন দায়ের করা হবে।’
আইনি নোটিশের ব্যাপারে জানতে কাল বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ সময় : ১২৫৫ ঘণ্টা, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭,
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এ