তাহলে চূড়ান্ত রায় দিয়ে দিয়েছেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে! নাসির হোসেনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার যোগ্যতা নেই। মুমিনুল হকের যোগ্যতা নেই টেস্টের বাইরে কিছু খেলার। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ চলাকালেই নাকি কোচ দলের মধ্যে এই মত প্রকাশ করেছেন। সেটির প্রতিফলনও দেখা গেছে। পুরো সফরে দলের সঙ্গে রেখে দিলেও টেস্ট সিরিজের পর মুমিনুলকে আর কোনো কিছুর জন্যই বিবেচনা করা হয়নি। আর নাসির তো ওয়ানডেতে সুযোগ পেয়েও নিজেকে প্রমাণ করতে পারেননি। একজন কোচ এ রকম সিদ্ধান্ত নিতেই পারেন।
তাঁর মনে হতেই পারে অমুক ক্রিকেটারকে দিয়ে হবে, তমুককে দিয়ে হবে না। কিন্তু এ রকম সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে যদি সেই কোচ শুধু নিজের অভিজ্ঞতার মধ্যে থাকা নিকট অতীতটাই দেখেন, তাহলে তাঁর যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। একজন ক্রিকেটার খারাপ সময়ে পড়লে তাঁর সমস্যা দূর না করে ‘অমুক চলে না’, ‘তমুক পারে না’–জাতীয় সিদ্ধান্ত দিয়ে দিতে বিদেশি কোচ লাগে না। এ রকম ‘ক্রিকেটবোদ্ধা’ বাংলাদেশে ১৬ কোটি আছে।
বাংলাদেশ দলের দায়িত্ব নেওয়ার পর গত প্রায় সাড়ে তিন বছরে হাথুরুসিংহের অবদান আসলে কিছুই নয়। তিনি যদি পারতেন সৌম্য সরকারের ব্যাটে ধারাবাহিকতা ফেরাতে, নাসিরকে আগের মতো নির্ভার ক্রিকেট খেলায় উজ্জীবিত করতে, টেস্ট সামর্থ্যের সঙ্গে মুমিনুলের ব্যাটিংয়ে ওয়ানডের মেজাজটাও আনতে (যেটা মুমিনুলের নেই বলেই মনে করেন হাথুরুসিংহে), তাহলেই বলা যেত বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য তিনি কিছু করেছেন। এই সাড়ে তিন বছর থেকে হাথুরুসিংহে এমন একটি উদাহরণ তুলে আনতে পারবেন না, যেটা দিয়ে বাংলাদেশের সাফল্যে তাঁর অবদান প্রমাণিত হবে। এমন একজন ক্রিকেটার খুঁজে পাওয়া যাবে না, যাঁকে দেখিয়ে কোচ দাবি করতে পারেন, ‘অমুকের সমস্যার সমাধান তো আমি করেছি।’
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৭ ঘণ্টা, ৩০ অক্টোবর ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এস