অবশেষে টস ভাগ্য প্রোটিয়া কাপ্তান ফাফ ডু প্লেসিসের হয়ে কথা বললো। টেস্ট সিরিজের পর ওয়ানডে সিরিজে জয় নিশ্চিত করলেও টসে একবারও জয়ের দেখা পায় নি ডু প্লেসিস। ইস্ট লন্ডনের উইকেট সেকেন্ড ইনিংসে কিছুটা স্লো হয় বলেই টসে জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন ডু প্লেসিস।
ওয়ানডে সিরিজ হারলেও শেষ ম্যাচে ভালো ফলাফলের লক্ষ্য বোলিংয়ে নামেন বাংলাদেশ দল। এই ম্যাচে আমলার বদলী হিসেবে ওপেনিংয়ে ডি ককের সঙ্গী হওয়ার সুযোগ পান টেম্বা বাভুমা।
তবে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। লাইন লেন্থের অধারাবাহিকতার সুযোগ নিয়ে শুরু থেকেই হাত খুলে খেলতে থাকেন দুই প্রোটিয়া ওপেনার। প্রায় সাত রান রেটে খেলে ইনিংসের পাঁচ ওভারেই দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ত্রিশ ছাড়িয়ে যায়।
রান থামাতে ব্যাটিং পাওয়ারপ্লের অষ্টম ওভারেই সাকিবকে বোলিংয়ে আনতে হয় মাশরাফির। একই ওভারে বাভুমার বাউন্ডারিতে প্রোটিয়াদের স্কোর অর্ধশত ছাড়িয়ে যায়। ভয়ডরহীন ব্যাটিংয়ে ব্যাটিং পাওয়ার প্লেতে গত দুই ওয়ানডে ম্যাচের স্কোরকে ছাড়িয়ে ৬৯ রান তুলে দক্ষিণ আফ্রিকা।
ইনফর্ম ওপেনার ডি কক ইনিংসের ১৪তম ওভারে ৪৭ বল খরচায় ফিফটি তুলে নেন। পরের ওভারেই দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর একশ ছাড়িয়ে যায়। উইকেটে জমে যাওয়া দুই প্রোটিয়া ওপেনার স্বাচ্ছন্দ্য ব্যাটিং করে যান। তবে ইনিংসের ১৮তম ওভারে ভুল করে বসেন বাভুমা।
মিরাজের বলে ব্যক্তিগত ৪৮ রানে বড় শট খেলতে গিয়ে লং অনে লিটনের হাতে ক্যাচ তোলেন তিনি। দলের স্কোর তখন ১১৯ রান। সেখানেই থামলেন না মিরাজ। ইনিংসের ২২তম ওভারে এসে উইকেটে জমে যাওয়া ভয়ঙ্কর ডি কককে ফ্লাইটে পরাস্ত করেন তিনি।
নিজের বলে সহজ ক্যাচ তুলে নিয়ে ৭৩ রানে ডি কককে থামান মিরাজ। দুই প্রান্ত থেকে স্পিন দিয়ে প্রোটিয়াদের চাপে ধরার চেস্টা করেন বাংলাদেশ। ইনিংসের ২৫তম ওভারে এসে দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর দেড়শ ছাড়া করেন ডু প্লেসিস ও অভিষিক্ত মার্করাম।
দুই উইকেটের পতন ঘটলেও ডু প্লেসিস ও মার্করামের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়াতে বেশি সময় নেয় নি দক্ষিণ আফ্রিকা। দলের স্কোর ৩০তম ওভারেই দুইশ ছাড়া করে এই জুটি। সেখান থেকে ইনিংসের ৩৪তম ওভারে ফিফটি তুলে নেন প্রোটিয়া কাপ্তান।
এক ওভার পরে ফিফটিতে পৌঁছে যান মার্করাম। ততক্ষণে জুটির সেঞ্চুরি পূর্ণ করে বড় স্কোরের আভাস দিচ্ছিল মার্করাম ও ডু প্লেসিস। ইনিংসের ৪১তম ওভারে বড় ধাক্কা খায় দক্ষিণ আফ্রিকা। রান নিতে গিয়ে পায়ের পেশিতে টান পড়ে অধিনায়ক ডু প্লেসিসের।
পরবর্তীতে ৮৯ রানে অপরাজিত থেকে ডু প্লেসিস ফিজিওর পরামর্শে মাঠ ছাড়েন। একই ওভারে আরেক থিতু ব্যাটসম্যান মার্করামকে ৬৬ রানে রান আউট করেন ইমরুল কায়েস। দলের স্কোর তখন ২৮৯ রান। সেখান থেকে বিহারদিনের সাথে জুটি গড়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে তিনশো রানে নিয়ে যান ডি ভিলিয়ার্স।
তবে গত ম্যাচের মত ইনিংস বড় করতে পারেনি তিনি। ৪৬তম ওভারে রুবেলের বলে মাশরাফির দুর্দান্ত ক্যাচে ২০ রানে থামে ডি ভিলিয়ার্সের ইনিংস।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, ২২ অক্টোবর ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এসএফ