এতো বছরের পারফর্মের বিনিময়ে কি দিলেন আমাকে? বাশারকে ক্ষিপ্র কণ্ঠে নাফিস

শাহরিয়ার নাফিস। বাংলাদেশের সব থেকে বেশি অবহেলিত ও অপেক্ষায়িত ক্রিকেটার। সবশেষ জাতীয় দলের জার্সি গায়ে তাকে দেখা যায় ২০১৩ সালে। সেবার সাদা পোশাকের ক্রিকেটে শেষবার নেমেছিলেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। আর শেষ ওয়ানডে খেলেছিলেন তারও অনেক আগে। ২০১১ সালে মিরপুরে পাকিস্তানের বিপক্ষে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে নেমেছিলেন ।

২০১৩ সালের পর জাতীয় দলের জন্য ডাকা না হলেও নিয়মিত পারফর্ম করে গিয়েছেন জাতীয় লিগ, বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ (বিসিএল), ডিপিএল এবং বিপিএলে। টানা পারফর্মের পরেও সুযোগ মেলেনি জাতীয় দলের ক্যাম্পে। এই নিয়ে আক্ষেপের শেষ নেই এই ব্যাটসম্যানের।

সম্প্রতি আয়ারল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে ঘোষিত বাংলাদেশ ‘এ’ দলের ১৩ সদস্যের দলেও ঠাই মেলেনি নাফীসের। মূলত ‘এ’ দল গঠন করা হয় জাতীয় দলের অবহেলিত ক্রিকেটার বা বাদ পড়া ক্রিকেটারদের নিয়ে। এই কারণে আক্ষেপের পরিমাণটা আরো বেড়েছে নাফিসের।

বয়স মাত্র ৩২। সুযোগ পেলে দলকে এখনো অনেক কিছুই দেওয়ার বাকি রয়েছে এই ক্রিকেটারের। কিন্তু এই সুযোগটা পাচ্ছে কোথায় তারা? যেখানে ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফর্মের উপর ভিত্তি করে জাতীয় দলে ডাকা হয় সেখানে নিয়মিত পারফর্মার নাফিস, তুষার ইমরানরা।

কিন্তু নিয়মিত পারফর্মের ফলটা পাচ্ছে কোথায়? যেখানে ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত পারফর্ম করেও বিবেচনায় আনা হচ্ছেনা সেখানে উঠতি ক্রিকেটারদের মধ্যেও এক ধরণের ভয় জন্ম নিবে। আয়ারল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে দলে জায়গা না পাওয়ায় হাবিবুল বাশারের প্রতি প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন নাফিস।

“সুমন ভাই আমি গত তিন বছর যে তিন হাজার রান করলাম তার বিনিময়ে আপনারা কী দিলেন? আপনারাতো আমাকে জাতীয় দলের ক্যাম্পেও ডাকতে পারতেন।”

তবে নাফিসকে না নেওয়ার পেছনে কারণ দেখিয়েছেন নাকে অস্ত্রোপচার। তাছাড়াও অস্ত্রোপচারের কারণে জাতীয় লিগেও খেলতে পারেননি নাফীস। তারই জের ধরে আয়ারল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে ঘোষিত ১৩ সদস্যের দলে জায়গা মেলেনি নাফিসের।

এই প্রসঙ্গে হাবিবুল বাশার বলেন, “নাফিস এনসিএল খেলছে না মানে হলো, সে খেলার মধ্যে নেই। খেলার মধ্যে নেই মানে তার ফিটনেস নেই। তাহলে কী করে আমরা তাকে এই সিরিজে খেলাই?”

হাবিবুল বাশারের আনা এমন মন্তব্যর জের ধরে বলে ফেলেন আমাকে না হয় সুযোগ দেননি কিন্তু বিজয়, তুষাররা? মূলত জাতীয় লিগে বরিশাল বিভাগকে ফোন করে নাফিসের ব্যাপারে জানতে চান হাবিবুল বাশার। তারই জের ধরে নেওয়া হয়নি বাংলাদেশ ‘এ’ দলে।

“সুমন ভাই (হাবিবুল বাশার সুমন) এজন্যই আমাকে দলে নেননি। উনি আমার বিভাগকে (বরিশাল) ফোন করে জানতে চেয়েছেন আমি কেন এনসিএল খেলছি না? ওনারা বলেছে আমি নাকে অস্ত্রোপচারের জন্য খেলছি না। আমার মনে হয় এই অজুহাতেই উনি আমাকে নেননি।”

তিনি আরো যোগ করেন, “আমাকে না হয় নাকে অস্ত্রোপচারের অজুহাতে বাদ দেয়া হয়েছে। ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত পারফর্ম করা আরও প্লেয়ার আছে বিজয়, নাঈম, তুষাররা, তাদের কেন নেয়া হলো না?’বিডিক্রিকটাইম

বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, ১৯ অক্টোবর  ২০১৭

লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/কেএসপি