বর্তমান মেয়াদে গতকালই শেষ অফিস করলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। শেষ কর্মদিবসে পরিচালকদের নিয়ে বিদায়ী বৈঠকও করেন। বৈঠক শেষে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে গত চার বছরের নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন বিসিবি সভাপতি। শুধু কি তাই! বাইশ মিনিটের সংবাদ সম্মেলন শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে সেলফি পর্যন্ত তোলেন বিসিবি বস! বলেছেন গত চার বছরে বিসিবি সভাপতি হিসেবে তার চ্যালেঞ্জের কথা। বলেছেন দুটি পূরণ না হওয়া স্বপ্নের কথাও। আসন্ন নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় আসতে পারলে সে স্বপ্নগুলো পূরণের অঙ্গীকারও করেন তিনি। ৩১ অক্টোবরের নির্বাচনে তার নেতৃত্বাধীন প্যানেলই ক্ষমতায় আসতে যাচ্ছে।
অনেক সাফল্যের ভিড়ে গতকাল অপূরণীয় দুটি স্বপ্নের কথা নির্দিষ্ট করেই বলেছেন নাজমুল হাসান, \’দুটি প্রধান বিষয় আছে, যা আমরা করতে পারিনি। একটি হলো আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা, এর সবকিছু প্রস্তুত করা আছে। সময়ের জন্য আমরা করতে পারিনি। এটা একটা স্বপ্ন রয়ে গেছে। যদি কখনও সামনে সুযোগ আসে তাহলে অবশ্যই এটা আমাদের প্রথম দিকের কাজ হবে। প্রথম বছরেই আমরা এটা পরিবর্তন করে নিয়ে আসতে পারব।র্ যাংকিংয়ের একটা স্বপ্ন তো রয়েই গেল। আমার ইচ্ছা ছিল পাঁচে যাব (ওয়ানডেতে)। এটা আপনাদের বলেছিলামও। পাঁচ হয়নি, তবে পাঁচে যাওয়া উচিত ছিল। আমি আত্মবিশ্বাসী ছিলাম যে, আমরা পাঁচে উঠে যাব। সামনের মেয়াদেও এটাই হবে আমাদের চ্যালেঞ্জ।\’
স্বপ্ন না হলেও আরও একটা বিষয় অচিরেই করতে চান নাজমুল হাসান। তিন ফরম্যাটে তিনটি দল গড়তে চান তিনি। এর পেছনের কারণটাও বলেছেন তিনি, \’আরেকটা সমস্যা দেখেন, আগে আমাদের খেলা কম হতো। এখন খেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্রিকেটারদের ফিজিক্যাল ফিটনেসটাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠছে। নিউজিল্যান্ডে আমাদের কতজন ক্রিকেটার ইনজুরিতে পড়েছিল! এখন দক্ষিণ আফ্রিকা সফরেও কতজন চোট পেল! ফিজিক্যাল ফিটনসে একটা বড় ইস্যু। এটা নিয়ে আমাদের অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে ভাবা উচিত। একটা দল যদি বিরতিহীনভাবে খেলতে থাকে, তাহলে ফিট থাকা অসম্ভব। এজন্য আলাদা দল হওয়া উচিত। টেস্ট, ওয়ানডে ও টি২০ ফরম্যাটে জন্য যদি আমরা দল ভাগ না করি, তাহলে ২০১৯ সাল থেকে বড় ধরনের সমস্যার মুখে পড়তে হবে আমাদের। কারণ এক খেলোয়াড়কে দিয়ে কত আর খেলানো যায়!\’
গত চার বছরের চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে বলতে গিয়ে নাজমুল হাসান প্রথমেই সামনে আনেন জাতীয় দলে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এবং \’টিমওয়ার্ক\’ প্রতিষ্ঠা করাকে, \’বাংলাদেশ ক্রিকেট দলে প্রধান চ্যালেঞ্জ ছিল আমাদের প্রতিভাগুলোকে শৃঙ্খলার মধ্যে রেখে খেলানো এবং দলের মধ্যে টিমওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা করা। আগে ব্যক্তিগতভাবে অনেকেই পারফর্ম করত, সেই আশরাফুল থেকে শুরু করে। কেউ একজন খুব ভালো খেললে হয়তো আমরা জিততাম, না হলে জিমতাম না। টিমওয়ার্ক ছিল না বলেই এমন হতো।\’ এ ছাড়া ২০১৪ সালে টি২০ বিশ্বকাপ আয়োজন, টেস্ট স্ট্যাটাসের ওপর আসা হুমকি মোকাবেলাকেও কঠিন চ্যালেঞ্জ হিসেবে বর্ণনা করেছেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ ঘণ্টা, ১৮ অক্টোবর ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এস পি