৫৭৩ রানে ইনিংস ঘোষণা করেছে দ. আফ্রিকা

ব্লুমফন্টেইনে রানের নিচে চাপা পড়েছে মুশফিকের দল। প্রথম দিন শেষে টস হারা দক্ষিণ আফ্রিকা ৩ উইকেট হারিয়ে তোলে ৪২৮ রান। ইনিংস ঘোষণার আগে প্রোটিয়ারা ১২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ৫৭৩ রান।

বৃষ্টির কারণে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু হতে বিলম্ব হয়। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর শুরু হয় ম্যাচ। অপরাজিত থেকে দ্বিতীয় দিন ব্যাটিংয়ে নামেন প্রথম টেস্টের সেঞ্চুরিয়ান হাশিম আমলা এবং দলপতি ফাফ ডু প্লেসিস। মোস্তাফিজের বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারের ২৮তম সেঞ্চুরি তুলে নেন আমলা। ১১৩ বলে ১৪টি চারের সাহায্যে তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছান তিনি। সর্বোচ্চ ৪৫ সেঞ্চুরি নিয়ে প্রোটিয়াদের সাবেক তারকা ১৬৫ টেস্ট খেলা জ্যাক ক্যালিস শীর্ষে। ১০৯ টেস্ট খেলা আমলার সেঞ্চুরির সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ালো দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৮-এ। এরপরই সেঞ্চুরি হাঁকান দলপতি ফাফ ডু প্লেসিস। মোস্তাফিজকে সীমানা ছাড়া করে টেস্ট ক্যারিয়ারের সপ্তম সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। ১৪৭ বলে ১২টি চারের সাহায্যে তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছান তিনি।

ইনিংসের ১১৪তম ওভারের শেষ বলে বোল্ড হন আমলা। শুভাশিসের করা বলে বিদায় নেওয়ার আগে ১৬৩ বলে ১৭টি চারের সাহায্যে আমলা করেন ১৩২ রান। দলীয় ৫৩৫ রানের মাথায় চতুর্থ উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। দলপতি ডু প্লেসিস ১৮১ বলে ১৫টি চারের সাহায্যে করেন অপরাজিত ১৩৫ রান। কুইন্টন ডি কক ২৭ বলে দুটি চার আর দুটি ছক্কায় করেন অপরাজিত ২৮ রান। বাংলাদেশের পেসার শুভাশিস তিনটি আর রুবেল একটি করে উইকেট তুলে নেন।

দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। স্বাগতিকদের হয়ে ওপেনিংয়ে নামেন ডিন এলগার, আইডেন মার্কারাম। প্রথম টেস্টে এই জুটি ১৯৬ রান তুলেছিল। এলগার ১৯৯ রানে আর অভিষিক্ত মার্কারাম ৯৭ রানে আউট হয়েছিলেন। দ্বিতীয় ম্যাচেও এই দুই ওপেনার ভোগায় বাংলাদেশকে। দক্ষিণ আফ্রিকা সবশেষ দুইশ রানের উদ্বোধনী জুটি পেয়েছিল ২০০৮ সালের জুলাইয়ে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লর্ডসে ২০৪ ছবি: সংগৃহীত

রানের জুটি গড়েছিলেন গ্রায়েম স্মিথ ও নিল ম্যাকেঞ্জি। ৯ বছর পর তাদের টপকে গেলেন মার্কারাম-এলগার জুটি।
ইনিংসের ৫৪তম ওভারে শুভাশিষের করা বলে এলগার তালুবন্দি হন মোস্তাফিজের। তার আগে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে এলগার চলতি বছর হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। পাশাপাশি টেস্ট ক্যারিয়ারের দশম সেঞ্চুরিও হাঁকিয়েছেন (১১৩)। বিদায়ের আগে এই ওপেনার ১৫২ বলে ১৭টি বাউন্ডারি হাঁকান। দলীয় ২৪৩ রানের মাথায় প্রথম উইকেটের পতন ঘটে। মাত্রই দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নামা আরেক ওপেনার মার্কারাম ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে বোল্ড হন। রুবেলের বলে বোল্ড হওয়ার আগে মার্কারাম ১৮৬ বলে ২২টি চারের সাহায্যে করেন ১৪৩ রান। দলীয় ২৭৬ রানের মাথায় স্বাগতিকদের দ্বিতীয় উইকেটের পতন ঘটে।

দলীয় ২৮৮ রানের মাথায় স্বাগতিকদের তৃতীয় ব্যাটসম্যান সাজঘরে ফেরেন। তেমবা বাভুমাকে (৭) উইকেটরক্ষক লিটন দাসের গ্লাভসবন্দি করেন শুভাশিস। বাংলাদেশকে প্রথম উইকেটের জন্য অপেক্ষা করতে হয় প্রায় ৫৪ ওভার। রুবেলের হাত ধরে দ্বিতীয় উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ। প্রথম উইকেট শিকার করা শুভাশিষের দারুণ বোলিংয়ে পরে তৃতীয় উইকেটের দেখা পায় মুশফিকের দল।

এর আগে পচেফস্ট্রুমে ৩৩৩ রানের বিশাল ব্যবধানে হারে বাংলাদেশ। মাত্র ৯০ রানে গুটিয়ে যায় দ্বিতীয় ইনিংস। ১০ বছর আগে ইনিংসে একশ’র নিচে অলআউট হয়েছিল বাংলাদেশ। তাই ব্লুমফন্টেইনে ব্যাটসম্যানদের সামনে অগ্নিপরীক্ষাই অপেক্ষা করছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, ০৭ অক্টোবর ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এসএফ

Scroll to Top