ফেরার অপেক্ষায় স্মিথ-ওয়ার্নার

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এডিলেড ওভালে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ রবিবার খেলবে অস্ট্রেলিয়া। এই ম্যাচ দিয়ে আরেকটা নতুন শুরু হবে স্টিভেন স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নারের। প্রায় তিন বছর পর এই ম্যাচের ভেতর দিয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলবেন স্মিথ। তার চেয়ে বড়ো কথা, নিষেধাজ্ঞা শেষ করার পর এই প্রথম দেশের মানুষের সামনে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলবেন স্মিথ ও ওয়ার্নার।

স্মিথ বলছিলেন, এই দেশের মানুষের সামনে খেলার জন্য তিনি মুখিয়ে আছেন। বিশেষ করে এত দিন পর টি-টোয়েন্টি খেলতে নামাটা রোমাঞ্চকর হবে বলে মনে করছেন তিনি, ‘সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি খেলার পর তো অনেক দিন কেটে গেল। আমার শেষ ম্যাচ ছিল ২০১৬ সালের বিশ্বকাপে; ভারতের বিপক্ষে। বিরাট (কোহলি) ম্যাচটা আমাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। রবিবার এডিলেড ওভালে খেলতে নামা এবং আরেকবার অস্ট্রেলিয়ার হয়ে টি-টোয়েন্টি খেলাটা দারুণ ব্যাপার হবে। তারা (দর্শকরা) এটা ভালোবাসবে বলেই মনে হচ্ছে। বিশেষ করে বিগ ব্যাশে যে পরিমাণে মানুষ এসেছিল খেলা দেখতে, আশা করছি রবিবারও তেমন কিছুই হবে।’

স্মিথ বলছিলেন, ঘরের মাঠে এই ম্যাচ খেলার আগে তিনি খুব শান্ত আছেন। নিজেকে তৈরি রাখছেন বলেই বলছিলেন, ‘আমি বেশ শান্ত আছি। অনেক বল পেটাচ্ছি নেটে। খুব ভালো লাগছে। ফলে আমি আরেকবার শুরু করার জন্য রোমাঞ্চিত অবস্থায় আছি। একটা ভালো গ্রীষ্ম শুরুর জন্য মুখিয়ে আছি।’

স্মিথ মনে করছেন, ঘরের মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে নিজেদের একতাবদ্ধ করে নেওয়ার জন্য এটা দারুণ একটা সময়, ‘বিশ্বকাপ আর এক বছরের কম সময়ের মধ্যে আসছে। ফলে ধারাবাহিকতা তৈরি করার জন্য এটা দারুণ একটা সময়। আমি মনে করি, এখানে আমরা যে ১৪ জন খেলোয়াড় আছি, সবারই এই ধারাবাহিক হয়ে ওঠার এটা ভালো সময়। সেই সঙ্গে বিশ্বকাপের অংশ হওয়ার জন্য নিজেদের আরো একতাবদ্ধ হয়ে ওঠার এটা প্রকৃত সময়।’

স্মিথের থেকে ওয়ার্নারের চ্যালেঞ্জটা একটু আলাদা। নিষেধাজ্ঞা শেষ করে ফেরার পর অসাধারণ সময় কাটাচ্ছেন স্মিথ। অ্যাশেজে রেকর্ড পরিমাণ রান করেছেন। বিপরীতে ওয়ার্নার যেন হঠাত্ করেই নিজেকে হারিয়ে ফেলেছেন। দারুণ একটা আইপিএল খেলে ফেরার পর বিশ্বকাপেও দারুণ ছন্দে ছিলেন। কিন্তু অ্যাশেজে একেবারে যাচ্ছেতাই কেটেছে তার সময়।

ওয়ার্নারকে তাই ভাবতে হচ্ছে ফর্ম নিয়ে। তিনি বলছিলেন, নিজের মনে নেতিবাচক চিন্তা ঢুকতে দিচ্ছেন না, ‘আমার মনে হয় একটা ব্যাপার আমরা ভুলে যাচ্ছি—আমি আগে কী করেছি, আমি কী করতে পারি এবং আমার কী করার যোগ্যতা আছে। সবাই চারদিক থেকে ভালো না করলে অনেক কিছু বলে। আমি এসব বাইরের আওয়াজ থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করছি। নেতিবাচক চিন্তা অনেক খারাপ দিকে নিয়ে যেতে পারে।’